ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মানুষ এমন কিছু কাজ করে ফেলে যা সরাসরি আল্লাহর নির্দেশের সীমালঙ্ঘনের শামিল। এসব সীমালঙ্ঘনের অপরাধ থেকে মুক্ত থাকতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের শিক্ষার জন্য প্রতিদিন নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়ায়ে মাছুরা হিসেবে একটি দোয়ার আমল করতেন। কী সেই দোয়া?
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য জানা-অজানা কিংবা শীমালঙ্ঘনের গুনাহ থেকে ক্ষমা পেতে নামাজের শেষ বৈঠকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। হাদিসে পাকে তা সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত আলি ইবনু আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাশাহহুদের (শেষ বৈঠকের) পর সালাম ফেরানোর আগে সব শেষে যা (যেসব দোয়া) পড়তেন, তার মধ্যে ছিল এটি-
اَللهُمَّ اغْفِرْلِىْ مَا قَدَّمْتُ وَ مَا أَخَّرْتُ وَ مَا أَسْرَارْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّىْ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَ أَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ
অর্থ :হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও, আমি আগে-পরে যা করেছি; যা গোপন করেছি, আর যা করেছি প্রকাশ্যে; যেসব বিষয়ে আমি সীমালঙ্ঘন করেছি, যেসব বিষয়ে তুমি আমার চেয়ে ভালো জানো; (আমাকে) অগ্রসর করা ও পেছনে ঠেলে দেওয়ার ক্ষমতা কেবল তোমারই, তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। (মুসলিম, বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নামাজের শেষে বৈঠকে দরূদ পড়ার পর সালাম ফেরানোর আগে অন্যান্য দোয়ার সঙ্গে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। কেননা এ আবেদনে আছে আগে-পরের প্রকাশ্য ও গোপন পাপসহ সীমালঙ্ঘনের গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহমুক্ত জীবনের জন্য এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।