কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তির উপায়

আমি এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে আপনাদের সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেশ করব- এক হাদিসে আল্লাহর রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত দাজ্জালের ফেতনার চেয়ে ভয়াবহ আর কোনো ফেতনার আবির্ভাব ঘটবে না। হজরত আদম আ: থেকে প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: পর্যন্ত সব নবী-রাসূল নিজ নিজ উম্মতকে দাজ্জালের ফেতনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আল্লাহর নবী সা: বলেন, সব নবী-রাসূল এ ফেতনা নিয়ে আলোচনা করে গেছেন; কিন্তু এত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি ইতঃপূর্বে কেউ আলোচনা করেননি। তাহলে কেমন হবে সে ফেতনা? কত ভয়াবহ হবে সে সময়টা?
এ বিষয়টি অনেক লম্বা ও দীর্ঘ আলোচনার দাবি রাখে; কারণ নবীজীর প্রতিটি কথায়ই রয়েছে অনুপ্রেরণা। রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তাসির ও প্রভাব।আমি সংক্ষেপে কিছু আলোচনা পেশ করব। দাজ্জালের আলোচনার সারাংশ হলো- সে মানুষের কাছে এসে বলবে, আমাকে ঈমান দিয়ে দাও! আর আমার কাছ থেকে দুনিয়া নিয়ে নাও! গাড়ি, বাড়ি-অট্টালিকা, বিলাসিতা যা চাও সব নিয়ে নাও। বিনিময়ে তোমার ঈমানটা দিয়ে দাও। আল্লাহর নবী সা: উম্মতকে সতর্ক করে বলেছেন, সাবধান তখন দুনিয়া দিয়ে দেবে। কিন্তু ঈমান দেবে না। আমরা যদি কখনো এমন পরিস্থিতির শিকার হই তাহলে দুনিয়া ছেড়ে দেবো, নিজের প্রাণ দিয়ে দেবো, তবুও ঈমান দেবো না।আল্লাহর রাসূল সা: আরো বলেন, দাজ্জাল এমন এক ব্যক্তির কাছে আসবে, যার ভ্রাতা ও পিতা মারা গেছে। তাকে বলবে, তুমি কি আমাকে রব হিসেবে মানো? সে বলবে, না। তখন দাজ্জাল বলবে, যদি আমি তোমার মৃত পিতা ও ভ্রাতাদের জীবিত করে দিই তবে কি তুমি আমাকে তোমার রব বলে বিশ্বাস করবে না? তখন সে বলবে, নিশ্চয় বিশ্বাস করব। তখন শয়তান তার পিতা ও ভ্রাতার অবিকল আকৃতি ধারণ করে আসবে। এসে বলবে, সে (দাজ্জাল) যা বলে তা মেনে নাও। দেখুন কত বড় ফেতনা! কত বড় পরীক্ষা! একটু চিন্তা করুন! আমাদের অবস্থা তখন কী হবে? আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন! আমীন!


দাজ্জাল বাতিল হওয়ার কিছু দলিল : দাজ্জালের একচোখ হবে কানা। অথচ আমাদের রব কিন্তু কানা নন; বরং তিনি সব ত্রুটি থেকে পবিত্র। যে নিজেকে ত্রুটিমুক্ত রাখতে পারে না সে আবার খোদা হয় কী করে? দুনিয়ায় চর্মচোখে খোদাকে দেখা সম্ভব নয়। সুতরাং যাকে চর্মচোখ দিয়ে দেখছি সে কখনো খোদা হতে পারে না। কারো দলিল জানা থাকলে সে তাকে খোদা হিসেবে মেনে নেবে না এবং তার ঈমান থাকবে নিরাপদ। আর দলিল জানা না থাকলে ধোঁকা খেয়ে বসবে।দুই লাইটওয়ালা গাড়ির এক লাইট নষ্ট হলে তার জন্য রাস্তায় চলাচল নিষেধ; কারণ হয়তো এ গাড়ি অন্য গাড়িকে ধাক্কা দেবে আর নয়তো অন্য গাড়ি এসে একে ধাক্কা দেবে। তেমনি একচোখ কানা দাজ্জালের অনুসরণও নিষেধ। কারণ সেও অন্যকে ধাক্কা দেবে (পথভ্রষ্ট করবে)।
আপনি ডাক্তার হোন বা প্রফেসর হোন, তালিবুল ইলম কিংবা আলেম হোন, একটি কথা ভালো করে মনে রাখবেন। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ঈমানের ওপর কায়েম রাখতে চাই। নিজেরাও যদি থাকতে চাই ঈমানের ওপর অটল। তাহলে সর্বপ্রথম নিজেরা আকাইদ শিখতে হবে এবং তাদেরও সেই আকাইদ শিক্ষা দিতে হবে। সাথে সাথে সেই আকাইদের দলিল নিজেরাও আয়ত্ত করতে হবে এবং তাদেরও আয়ত্ত করাতে হবে। নবীজী সা: আকাইদ শিক্ষা দিয়েছেন এবং পাশাপাশি তার দলিলও বুঝিয়ে দিয়েছেন।