রোজাদার চূড়ান্ত সফলতার লক্ষ্যে ইতেকাফ শুরু করবে। লাইলাতুল কদর পেতে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে মুমিন মুসলমান। লক্ষ্য একটাই রমজানের চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা।বিগত জীবনের গোনাহ মাফের পাশাপাশি জান্নাতের নিশ্চয়তা পাওয়া এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দিনভর এ দোয়ায় আল্লাহর কাছে ধরণা দেবে রোজাদার।
ক্ষমার দশকের শেষ দিনে রোজাদারের মুখে থাকবে- ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। জান্নাতের দরজা খুলে নেয়ামত দান কর। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে চিরতরে এর ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দাও। দিনভর বেশি বেশি এ দোয়া পড়বে-
اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِىْ فِيْهِ أَبْوَابَ الْجَنَانِ وَ أَغْلِقْ عَنِّىْ فِيْهِ أَبْوَابَ النِّيْرَانِ وَ وَفِّقْنِىْ فِيْهِ لِتِلَاوَةِ الْقُرْأَنِ يَا مُنْزِلَ السَّكِيْنَةِ فِىْ قُلُوْبِ الْمُوْمِنِيْنَ উচ্চারণ : ;আল্লাহুম্মাফ তাহলি ফিহি আবওয়াবাল ঝিনানি; ওয়া আগ্লি ক্ব আন্নি ফিহি আবওয়াবান নিরানি; ওয়া ওয়াফ্ফি ক্বনি ফিহি লি-তিলাওয়াতিল কুরআনি; ইয়া মুনযিলাস সাকিনাতি ফি কুলুবিল মুমিনিন। অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জন্য বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দিন এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কুরআন তেলাওয়াতের তাওফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।
রোজাদারের এ কথাটি মনে রাখা জরুরি- আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।আল্লাহর কাছে জান্নাতের নেয়ামত লাভ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির আশায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও আমলের বিকল্প নেই। রোজাদারের জন্য কুরআনের হেদায়েতই সর্বোত্তম নেয়ামত।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের দ্বিতীয় দশকে জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভে কুরআনের নেয়ামত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।