বদদোয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। কেননা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদদোয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে দোয়া কবুলের মুহূর্তগুলোতেও বদদোয়া করতে নিষেধ করেছেন তিনি। কিন্তু কেন?
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব বিষয়ে বদদোয়া করতেন নিষেধ করেছেন তা ওঠে এসেছে হাদিসের সুস্পষ্ট বর্ণনায়। তাহলো-
হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্তুতি ওপর নিজেদের ধন-সম্পদের ওপর বদ-দোয়া কর না। কেননা হতে পারে তোমরা আল্লাহর কাছে এমন সময়ে এমন কিছু প্রার্থনা করলে যখন তার কাছে প্রার্থনা করলে তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবেন। (মুসলিম) মনে রাখতে হবে
মহান আল্লাহ কখন, কোন ব্যক্তির প্রার্থনা কবুল করবেন, তা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। তাই মন চাইলেই কারো জন্য বদ-দোয়া করা ঠিক নয়। বিশেষ করে নিজ সন্তান-সন্তুতি কিংবা ধন-সম্পদের ব্যাপারেও বদ-দোয়া করা ঠিক নয়। কেননা সন্তান-সন্তুতি ও ধন-সম্পদ আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজ সন্তান-সন্তুতি, ধন-সম্পদসহ কারো ব্যাপারে যে কোনো সময় বদ-দোয়াকরা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। সবার জন্য কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।