বার্ধক্যজনিত কারণে কারও চুল বা দাড়ি পেকে সাদা হয়ে যায়। অনেকেই এসব সাদা চুল বা দাড়ি ওঠিয়ে ফেলেন। অথচ সাদা চুল বা দাড়ি মানুষের জন্য অনেক কল্যাণ ও মর্যাদা বয়ে আনে। যে কারণে সাদা চুল উপড়ে ফেলা নিষেধ।সাদা চুলের বিনিময়ে গুনাহ মাফ হয়। মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। সওয়াব পাওয়া যায়। সাদা চুল হবে পরকালের জ্যোতি। হাদিসের বর্ণনায় তা সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- لَا تنتفوا الشَّيْبَ فَإِنَّه نُوْرٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ شَابَّ شَيْبَةَ فِى الْإِسْلَامِ كُتِبَ لَه بِهَا حَسَنَةٌ وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةٌ وَرُفَعَ لَه بِهَا دَرَجَةٌ তোমরা সাদা চুল উপড়ে ফেলো না। কেননা সেগুলো কেয়ামতের দিন আলো হবে। আর যে মুসলিম ব্যক্তির চুল (বার্ধক্যজনিত কারণে) সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিনিময়ে ১টি করে সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয় এবং ১টি করে গুনাহ মাফ করা হয় এবং ১টি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। (ইবনু হিব্বান)
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, সাদা চুল বা দাড়ি একজন গুনাহগারের জন্য গুনাহ থেকে মুক্তির উপায়। তাই চুল বা দাড়ি সাদা হলে গেলে তা উঠানো নিষেধ। আর এতে মিলবে পরকালের জ্যোতি বা আলো। দুনিয়ায় পাওয়া যাবে সওয়াব ও মর্যাদা। ক্ষমা হবে গুনাহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে সাদা চুল বা দাড়ি ওঠানো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।