মহান আল্লাহ বান্দার কল্যাণে পুরো দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। আবার বান্দার কাজের হিসাব গ্রহণেও থাকবে সর্বোচ্চ কঠোরতা। পাঁচটি বিষয় মানুষের জন্য গণীতম। যে বিষয়গুলোর ব্যাপার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। যারা সুযোগ বুঝে উক্ত গণীমতকে ইবাদাত-বন্দেগিতে পরিণত করবে তাঁরাই মুক্তি পাবে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচটি বিষয়কে পাঁচটি বিষেয়র পূর্বে গণীমত মনে করতেন। এগুলো সব মানুষের জন্যও প্রযোজ্য। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিচ্ছেন- পাঁচটি অবস্থার আগে পাঁচটি অবস্থাকে (গণীমত) সুবর্ণ সুযোগ মনে করা-
১. বার্ধক্য আসার আগে (ইবাদত করার জন্য) যৌবনকালকে হাতছাড়া না করা।
২. রোগব্যাধি আসার আগে সুস্থ অবস্থাকে (নেক আমল করার জন্য) সুযোগ মনে করা।
৩. অভাবগ্রস্ত হওয়ার আগে স্বচ্ছলতা বা টাকা-পয়সাকে (ইবাদতের সুযোগ মনে করে দান-সদকা করা) মর্যাদা দেয়া।
৪. (কাজকর্মে) ব্যস্ত হওয়ার আগে অবসর সময়কে (নেক আমল করার জন্য) গণীমত মনে করা।
৫. মৃত্যু উপস্থিত হওয়ার আগে (নেক কাজ করার জন্য) জীবনকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করে মর্যাদা দেয়া। (মুসতাদরেকে হাকিম, বয়হাকি)
শুধু তাই নয়, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, হাশরের ময়দানে বিচার ফয়সালার সময় এ পাঁচটি প্রশ্ন প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসা করা হবে। অন্য হাদিসে বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার আগ পর্যন্ত এক কদমও নড়তে দেওয়া হবে না।
সুতরাং জীবনের এ সুবর্ণ সুযোগকে গণীমত মনে করে উল্লেখিত পাঁচটি অবস্থাকে বাস্তবে কাজে লাগিয়ে পরকালের পাথেয় সংগ্রহে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। পাঁচটি অবস্থাকে কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।