কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

যে ৪ অভ্যাস মানুষকে মুমিন হতে দেয় না

সমাজ জীবনে নানা বর্ণ-গোত্রের মানুষের বসবাস। এদের কেউ পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার। কারো ঈমান অপূর্ণ। আবার কেউ বিধর্মী। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনদের মধ্যে চার ধরনের লোকের ব্যাপারে বলেছেন, তারা (পূর্ণাঙ্গ) মুমিন নয়। তারা কারা?

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

ليسَ المؤمنُ بطعّانٍ ولا لعّانٍ ولا فاحِشٍ ولا بَذيءٍ মুমিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না অভিসম্পাতকারী হতে পারে না অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না। (তিরমিজি ১৯৭৭)

যেসব মুমিনের মাঝে এসব গুণগুলো থাকবে, তাদের পূর্ণ ঈমান নেই। তাদের ঈমানে ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা রয়েছে। সমাজে যদি এমন লোক থাকে যে, তিনি খুব জ্ঞানী। কিন্তু তিনি গালামন্দ করেন ও অশ্রাব্য উচ্চারণ করেন কিংবা অশ্লীল কথা বলেন বা অশ্লীল ধরনের কাজ করেন; তাহলে বুঝতে হবে এমন লোকের ঈমান ত্রুটিপূর্ণ।

মুসলিম উম্মাহর উচিত, এমন লোকদের থেকে দূরে থাকা। যদি তাদের থেকে দূরে থাকার মন-মানসিকতা তৈরি না হয়ে থাকে; তাহলে বুঝতে হবে- এটা এক ধরনের দৈন্যতা ও অসচেতনতা।

যদি কেউ ভাবেন, এমন লোকের মাঝেও কিছু কিংবা নানা রকম কল্যাণ থাকতে পারে। বাস্তবে তা সঠিক নয়। কারণ, হজরত লোকমান হাকিম তার সন্তানকে নসিহত করেছিলেন-

আর বদলোকদের মজলিসে বসবে না। কারণ, তাদের থেকে কল্যাণের তো কোনো আশা করাই যায় না। উপরন্তু তাদের ওপর কখনও কোনো আজাব এলে তুমিও তা থেকে বাঁচতে পারবে না। (আদ-দুররুল মানসুর ৫/১৬৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিকভাবে বুঝার এবং খারাপ লোকের সঙ্গ ত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।