যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়ার গুরুত্ব

ইফতারের মুহূর্তটি রোজাদারের কাছে বিশেষ আনন্দের। কেননা রোজাদার সারাদিন নিজেকে পানাহার ও শরিয়ত নির্ধারিত কাজ থেকে বিরত রাখার পর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও কল্যাণ পেতে ইফতার করে। ইফতারে কল্যাণ রয়েছে এমনটি বলেছেন স্বয়ং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় ইফতারের গুরুত্ব ওঠে এসেছে-

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় (এ সময় যেকোনো নেক দোয়া কবুল করা হয়)। অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। (তিরমিজি ৭৬৬, বুখারি ৭৪৯২, মুসলিম ১১৫১)

২. অপর এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয় যারা দ্রুত ইফতার করে। (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস ৫৬০, পৃষ্ঠা ১৩১)

ইফতারের আনন্দের মুহূর্তেই রোজাদারের দোয়া কবুল করা হয়। কারণ ইফতারের সময়টা হলো মহান আল্লাহর জন্য ধৈর্যধারণের মুহূর্ত। হাদিসে পাকে এসেছে-

৩. রোজাদারের দোয়া আল্লাহর কাছে এতই আকর্ষণীয় যে আল্লাহ তাআলা রমজানের সময় ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, রমজানে তোমাদের আগের দায়িত্ব মওকুফ করা হলো এবং নতুন দায়িত্বের আদেশ করা হলো, তাহলো- আমার রোজাদার বান্দাগণ যখন কোনো দোয়া মোনাজাত করবে, তখন তোমরা আমিন! আমিন! বলতে থাকবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

৪. অন্য এক হাদিসে এসেছে, রোজা অবস্থায় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া। (বায়হাকি ৩/৩৪৫)

৫. হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের অবশ্যই একটি দু আ আছে, যা রদ হয় না (কবুল হয়)। ইবনু আবু মুলাইকা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইফতারের সময় বলতে শুনেছি-

اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي

হে আল্লাহ্! আমি আপনার দয়া ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি যা সব কিছুর উপর পরিব্যপ্ত, যেন আপনি আমাকে ক্ষমা করেন। (ইবনে মাজাহ ১৭৫৩)

৬. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। এক. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। দুই. রোজা আদায়কারীর দোয়া, যতক্ষণ না সে ইফতার করে। তিন. মজলুম ব্যক্তির দোয়া। (মুসনাদে আহমাদ ৯৭০৪)