কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

যেসব আমল অবহেলায় ছেড়ে দেয় মানুষ

সহজ আমল কিন্তু অবহেলার কারণে ছেড়ে দেয়। উদাসিনতার কারণে এমনটি হয়। সহজ দুটি অভ্যাসে মানুষের অনেক সওয়াব পাওয়ার সুযোগ আছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে এ সহজ সুযোগের কথা তুলে ধরেছেন। সহজ দুটি অভ্যাস বা আমল সম্পর্কে কী এসেছে হাদিসে?

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, (মানুষের) দু টি অভ্যাস এমন আছে, যে এর পাবন্দী করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তা অত্যন্ত সহজ, অথচ তার আমলকারী নিতান্তই কম। আর অভ্যাস দুটি হলো-

১ প্রত্যেক নামাজের পর ১০ তাসবিহ

প্রত্যেক নামাজের পর সুবহানাল্লাহ দশবার, আলহামদুলিল্লাহ দশবার, আল্লাহু আকবার দশবার পড়া।

হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি নিজ আঙ্গুলের উপর তিনি তা গুণেছিলেন। এ ভাবে তিনটি কালেমা প্রত্যেক নামাজের পর দশবার করে পড়লে তা একশ পঞ্চাশবার হবে, কিন্তু আমল ওজন করার পাল্লায় (দশগুন বৃদ্ধির কারণে) পনের শ হয়ে যাবে।

২ ঘুমের সময়ের তাসবিহ

যখন (ঘুমের সময়) শোয়ার জন্য বিছানায় যাবে তখন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ- ৩৩ বার পড়বে এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়বে। সব মিলে একশ কালেমা পড়া হলেও সওয়াবের হিসাবে (দশ গুণ বেড়ে যাওয়ার কারণে) এক হাজার নেকি হল। এখন এটা ও সারা দিনের নামাজের পরের সংখ্যা মিলিয়ে মোট দুই হাজার পাঁচশ নেকি হয়ে গেল।

তাসবিহগুলো হলো-

سُبْحَانَ الله - সুবহানাল্লাহ

اَلْحَمْدُ لِلَّه - আলহামদুলিল্লাহ

اَللهُ اَكْبَر - আল্লাহু আকবার

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, সারাদিন দুই হাজার পাঁচশ গোনাহ কে করে? অর্থাৎ এ পরিমাণ গোনাহ হয় না অথচ এই আমল করার দ্বারা দুই হাজার পাঁচশ নেকি হয়ে যায়।

হজরত আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এই অভ্যাসগুলোর উপর আমলকারী কম হওয়ার কারণ কী? প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-

(কারণ এই যে) শয়তান নামাজের মধ্যে এসে বলে, অমুক প্রয়োজন বা অমুক কথা স্মরণ কর। অবশেষে তাকে বিভিন্ন খেয়ালে মশগুল করে দেয়, যেন এই কালেমাগুলো পড়ার কথা খেয়াল না থাকে। আর বিছানায় এসে তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে। এইভাবে সে কালেমাগুলো না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। (ইবনে হিববান, আবু দাউদ, তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক নামাজের পর এবং ঘমের সময় বিছানায় শুয়ে এ তাসবিহগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।