যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ক্ষমা পাওয়ার ৪ শর্ত

মহান আল্লাহর ক্ষমাযোগ্য হওয়ার জন্য চারটি জিনিস আবশ্যক। কুফর, শিরক ও পাপ থেকে তাওবা করা, ঈমান থাকা, নেককাজ করা এবং হকের উপর অটল থাকা। এসব অবস্থায় অবিচল থাকা, যাতে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু হয়। যদি এর বিপরীত হয় তবে তওবা ও ঈমানের পর কেউ কুফরি ও শিরকের পথ অবলম্বন করে আর ওই অবস্থায় মৃত্যু এসে যায় তবে তার ক্ষমা নেই থাকবে শাস্তি। মহান আল্লাহ ক্ষমার ব্যাপারে শর্ত আরোপ করে ঘোষণা করেন-

وَ اِنِّیۡ لَغَفَّارٌ لِّمَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهۡتَدٰی নিশ্চয়ই আমি তার জন্য বড় ক্ষমাশীল যে (শিরক ও পাপ থেকে) তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে সৎকাজ করে এবং সৎপথে অবিচল থাকে। ( সুরা ত্বহা : আয়াত ৮২) এ আয়াতে মাগফেরাত তথা ক্ষমার জন্য রয়েছে চারটি শর্ত। তাহলো-

এক. তাওবা। অর্থাৎ বিদ্রোহ, নাফরমানি অথবা শিরক ও কুফরির পাপ থেকে বিরত থাকা।

দুই. ঈমান। অর্থাৎ আল্লাহ, রাসুল, কিতাব ও আখেরাতকে সাচ্চা দিলে মেনে নেওয়া।

তিন. সৎকাজ। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসুলের বিধান অনুযায়ী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে ভালো কাজ করা।

চার সত্য পথের উপর অবিচল থাকা। অর্থাৎ সত্য সঠিক পথে অবিচল থাকা এবং তারপর ভুল পথে না যাওয়া। এ পথ সম্পর্কে মুফাসসিরিনের কেরাম বলেন-

১. হজরত ইবন আব্বাস বলেন, সন্দেহ না করা।

২. হজরত সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।

৩. হজরত কাতাদাহ বলেন, মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর থাকা।

৪. হজরত সুফিয়ান আস-সাওরি বলেন, এর অর্থ সে জানলো যে, এগুলোর সওয়াব আছে। (ইবনে কাছির)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, খাঁটি দিলে তাওবা করা; আল্লাহ ও রাসুল নির্দেশিত বিষয়ের উপর ঈমান রাখা, নেককাজ করা, নেক কাজের উপর অটল ও অবিচল থাকা। তবেই আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর ক্ষমা পেতে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে ধন্য হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।