আল্লাহ গালিব বা বিজয়ী। আল্লাহর বিজয় অবধারিত। সর্ববিষয়ে আল্লাহর বিজয় ও প্রাবল্য নিশ্চিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ সিদ্ধান্ত করেছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হবো এবং আমার রাসুলগণও।
নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ২১)
আল্লামা সামআনি (রহ.) বলেন,আল্লাহর বিজয় জ্ঞাত বিষয়। কেননা প্রতিটি বিষয় তাঁর উদ্দেশ্য ও ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত হয়। আর আল্লাহর রাসুলের বিজয় কখনো সাহায্যের মাধ্যমে হয়েছে, কখনো দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে হয়েছে। (তাফসিরে সামআনি : ৫/৩৯৩)
তবে কখনো কখনো মানুষ আল্লাহর বিজয় অনুভব করতে পারে না। ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাঁর কাজ সম্পাদনে অপ্রতিহত; কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ তা অবগত নয়। (সুরা ইউসুফ, আয়াত : ২১)
মনে রাখতে হবে, আল্লাহ বিজয়ী এর অর্থ এই নয় যে তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিজয়ী। কেননা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কোনো প্রতিপক্ষ নেই। কেউ তা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আল্লাহ বিজয়ী হলেন তাঁর ইচ্ছা ও কাজের পরিণতির বিবেচনায়। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আল্লাহ যখন কোনো কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন তা প্রতিহত করা যায় না, তাতে বাধা দেওয়া যায় না এবং তার বিরোধিতা করার মতোও কোনো শক্তি নেই। তিনি সব কিছুর ওপর প্রবল ও অপ্রতিরোধ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/৩৭৮)
আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের মতো মুমিনদের জন্য আল্লাহ বিজয় নির্ধারণ করে রেখেছেন। শর্ত হলো আল্লাহর ওপর থেকে আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে না ফেলা এবং বিনয়ী হয়ে তার সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ বলেন, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিতও হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন, এক আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই তাঁর বাহিনীকে মর্যাদাবান করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাভূত করেছেন। এরপর শত্রু ভয় বলতে কিছুই থাকল না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪১১৪)