যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

যেসব কাজ ঈমানের জন্য ক্ষতিকর

কিছু বিশ্বাস ও কাজ এমন আছে, যেগুলো কোনো ঈমানদানকে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। নিম্নে সে বিষয়ে বর্ণনা করা হলো—

কোনো কিছুকে কুলক্ষণ মনে করা : কোনো বস্তু বা অবস্থা থেকে কুলক্ষণ গ্রহণ করা বা কোনো সময়, দিন বা মাসকে অমঙ্গল মনে করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। কোরআন-হাদিসে প্রমাণিত নয়—এরূপ কোনো লক্ষণে বিশ্বাস করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। (বুখারি, হাদিস : ৫৭১৭)

পীর সাহেবকে বা মাজারে সিজদা করা : পীর সাহেব বা মাজারকে উদ্দেশ্য করে সিজদা বা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানানো কুফরি কাজ। (ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৩)

পর্দা নিয়ে উপহাস করা : শরিয়তে যেসব বিধান অকাট্যভাবে প্রমাণিত বা ধর্মের সর্বজনবিদিত আবশ্যকীয় বিষয়, পর্দার বিধানও তার অন্তর্ভুক্ত। তা নিয়ে উপহাস করা কুফরি। (রদ্দুল মুহতার ৪/২২৩)

দাড়ি-টুপি নিয়ে উপহাস : দাড়ি-টুপির উপহাস করা মূলত নবী (সা.)-এর সুন্নত নিয়ে উপহাস। তাই উপহাসকারী ঈমানহারা হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৭)

আলেমদের অপমান ও অবজ্ঞা করা : ইলমের কারণে বা দ্বিনের ধারক-বাহক হওয়ায় উলামায়ে কেরামকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা কটাক্ষ করা কুফরি। হ্যাঁ, পার্থিব বিষয়ে তাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত কর্মের কারণে কটাক্ষ করার দ্বারা কাফের হবে না। (বাহরুর রায়েক : ৫/১২৩)

কোরআনের অবমাননা কুফরি : কোরআন শরিফের অবমাননা করা বা পুড়িয়ে ফেলা বা ছিঁড়ে ফেলা স্পষ্ট কুফরি। (আল-বাহরুর রায়েক : ৫/১২০)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ছবি ও ব্যঙ্গচিত্র আঁকা : রাসুলে করিম (সা.)-এর অবমাননা যেকোনোভাবেই করা—মুখে হোক কিংবা ছবি এঁকে হোক কুফরি, বিশেষত নবীজি (সা.)-এর ছবি আঁকাও প্রকাশ্য নবীদ্রোহিতা। সুতরাং এ ধরনের রাসুলদ্রোহীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দায়িত্বশীলদের ওপর ফরজ। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩৮৬)

নবুয়তের দাবি করা : মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী, তারপর আর কেউ নবী হবে না—এ কথার ওপর ঈমান রাখতেই হবে। যদি কেউ আল্লাহর ওপর ঈমান আনে কিন্তু নবী করিম (সা.)-কে শেষ নবী হিসেবে না মানে সে কাফির। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪০)