২১৫ বছর আগের মসজিদ রংপুরের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়িক পণ্যের জাকাত ইবাদত পালনকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মসজিদে নববীমৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেনযেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় না
No icon

হজ পালনে ভুল হলে যা করণীয়

হজের ভুলত্রুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. ইহরামবিষয়ক ভুল, দুই. হজের কর্মগত ভুল।

ইহরামগত বিষয়ে ভুল হলে করণীয়

ইহরামবিষয়ক ভুলের ক্ষেত্রে করণীয় হলো : ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ যেমন— সহবাস, শিকার, হত্যা বা এজাতীয় কোনো ইহরামবিরোধী কাজ ভুলবশত, না জেনে কিংবা নিদ্রিত অবস্থায় বা কোনো ওজরের কারণে করে ফেললে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। ফিদিয়া হলো—পশু (বকরি, দুম্বা, উট) জবাই করবে অথবা ক্ষেত্রভেদে সদকা করবে। 

অন্যদিকে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে, বৈধ কোনো ওজর ছাড়া করে ফেললে ক্ষতিপূরণ ‘দম’ দিতে হবে এবং সে পাপীও হবে।

হজের কর্মগত বিষয়ে ভুল হলে

হজের কর্মগত ভুল তিন ধরনের—

১. হজের ফরজ তিনটি : ইহরাম পরিধান, আরাফায় অবস্থান ও তাওয়াফে জিয়ারত। হজযাত্রী আরাফায় অবস্থান করতে না পারলে পরে আবার হজ করা ছাড়া এর ক্ষতিপূরণ হবে না। ইহরামবিরোধী কাজ করে ফেললে ফিদিয়া দেবে।আর তাওয়াফে জিয়ারত ছুটে গেলে পরে আদায় করে নেবে এবং ‘দম’ দেবে।

 

২. হজের কোনো ওয়াজিব সম্পূর্ণ ছুটে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ‘দম’ দিতে হবে। দম কোরবানির তিন দিনসহ বছরের যেকোনো সময়ে আদায় করতে পারবে। 

তবে হারাম শরিফের চৌহদ্দিতেই আদায় করতে হবে। জবাই করার পর প্রাণীর রশি, লাগাম ও গোশত মিসকিনদের সদকা করে দেবে। হজের ভুলত্রুটির জন্য যে দম ওয়াজিব হয়, তা দমদাতা নিজে ভক্ষণ করতে পারবে না। এভাবে কোনো ধনী মানুষও তা থেকে ভক্ষণ করবে না। এটা গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। (ফাতহুল কাদির : ৩/১৬১, ৩/১৬২, রদ্দুল মুহতার : ২/৬১৬, আল বাহরুর
রায়েক : ৩/৭৮)

 

৩. হজের কোনো সুন্নত-মুস্তাহাব ছুটে গেলে দম জবেহ করে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। তবে অবজ্ঞা-অবহেলা করে কোনো সুন্নত তরক করা উচিত নয়। হজে যেকোনো ধরনের ভুল হলেই দম দিতে হবে, এমন কথা ঠিক নয়।