কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

বিয়ের অন্যতম অপরিহার্য শর্ত মোহরানা

বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজমানসিক, শারীরিক ও আর্থিক সচ্ছলতাসম্পন্ন একজন নারী ও পুরুষের জন্য বিবাহ একটি ফরজ কাজ। বিয়ের অন্যতম অপরিহার্য শর্ত মোহরানা। একজন পুরুষ মোহরানা পরিশোধ করার মাধ্যমে একজন নারীর সাথে এই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন। মোহরানা ছেলের সামর্থ্যানুযায়ী মেয়েকে দিতে হবে। এখানে যেমন কার্পণ্য করা যাবে না, আবার সামর্থ্যরে বাইরে গিয়ে পরিশোধ না করার নিয়তে বড় অংকের টাকা মোহরানা ঠিক করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে ছেলের অন্য ভাই-বোনদের মোহরানা এবং সামাজিক পরিবেশ এবং ছেলের আয়ের ওপর নির্ভর করে মেয়ের মোহরানা ঠিক করলে ভালো হয়। মোহরানা পুরোটাই পরিশোধ করে বিয়ে করা উত্তম। বাকি রাখা যাবে না, তা কিন্তু নয়।
একবার নবী মুহাম্মদ সা. এক সাহাবীর বিয়ের প্রস্তাব করলে সাহাবা জানালেন, মোহরানা দেয়ার মতো অর্থ তার কাছে নেই। তিনি বললেন, তুমি কি কুরআন পড়তে পার? তিনি বললেন, পারি। মেয়েটি কুরআন পড়তে পারত না। নবী সা. বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীকে কুরআন শেখাবে। এটাই তোমার জন্য মোহরানার কাজ করবে। কোটি টাকা মোহরানা দিয়ে বিয়ে টেকেনি- এমন ঘটনা আমাদের দেশেই ঘটেছে। আবার ১ টাকা মোহরানা দিয়ে বিয়ের খবরও পাওয়া যায়।
মোহরানা সহজ হওয়া ভালো। খুশি মনে মোহরানা পরিশোধ করলেই পরিবারে কল্যাণ বয়ে আনে। ছেলে বা মেয়ের পক্ষে মোহরানা নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেই কাম্য নয়। ছেলেমেয়ের সম্পর্কের উত্তম দিকটাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারে শান্তি, সমৃদ্ধি ভালোবাসার ওপর ভবিষ্যতের বংশধরদের কল্যাণ নির্ভর করে। মোহরানা সন্তোষের সাথে আদায় করলেই মহান আল্লাহর কল্যাণ পাওয়া যাবে।
আমাদের দেশে পবিত্র বিয়ের পর্বগুলো ইদানীং অপবিত্র আচার-আচরণে ভরে গেছে। আগেই বলেছি, বিয়ে একটি পবিত্র ফরজ কাজ মুসলিম পরিবারে। এ পবিত্র কাজে বেহুদা অনুষ্ঠান ‘হলুদের’ আয়োজন একদিকে যেমন অপবিত্র নাচগানে ভরপুর করে, তেমনি ছেলেমেয়ে একসাথে নাচানাচি, গানে গানে তালবেতাল মাতামাতি খুবই  দৃষ্টিকটু, ব্যয়বহুল এবং টাকা-পয়সা খরচ করে পাপ কেনার অযথা আয়োজন। অবশ্যই এ আয়োজন মুসলিম কৃষ্টি-কালচারের সাথে খাপ খায় না। বিয়ে অনুষ্ঠানে আনন্দ-ফুর্তি করাই যেতে পারে। তবে তা হবে নিষ্কলুষ ও মুসলিম কৃষ্টি-কালচারের সাথে সামঞ্জস্যশীল, ছেলে ও মেয়েদের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ ভিন্ন স্থানে করতে হবে। নাত, গজল ছেলেমেয়েদের জন্য দোয়ামূলক অনুষ্ঠান করাই যেতে পারে। ইসলাম নিরানন্দ নয়, বরং হাসাহাসি গল্প, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন কাজ করা যেতে পারে।
বেগম সাহেবাসহ মদিনায় কিছুদিন পূর্বে ওমরার সময় এক বিবাহের দাওয়াতে শরিক হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে ছেলেমেয়েদের আয়োজন সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঢোকার গেটও আলাদা। চা-কপি খাওয়া থেকে শুরু করে আনন্দঘন পরিবেশ, খাওয়া-দাওয়া সবই হয়েছে ভিন্ন পরিবেশে। অর্থাৎ ছেলেমেয়েদের আনন্দ-আহ্লাদ সবই করা যাবে, কিন্তু ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ আলাদাভাবে; সংমিশ্রণ করা যাবে না।
ছেলেমেয়ের বিয়ের পর শুধুমাত্র ছেলে ও মেয়ের জন্যই সব আয়োজন। সাজগোজ, সুগন্ধি ব্যবহারসহ আনন্দ-ফুর্তি সবকিছুই ছেলে ও মেয়েকে ঘিরে। পর পুরুষের সাথে এর কোনো সংশ্রব থাকবে না। এমনকি কাজের ছেলে বা মেয়ের সামনেও ছেলেমেয়ের পোশাকে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। স্বামীর জন্য মেয়ে তার পোশাক-আশাক, সাজগোজ আনন্দের সবকিছু আয়োজন করতে পারবে। এখানে আর কোনো লোকের বা ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটানো যাবে না। বলতে পারেন আমাদের দেশের চালচলনে তো বিয়ে-শাদী মানেই সবাইকে সাথে নিয়ে ছেলে ও মেয়ে আনন্দ-ফুর্তি করবেÑ এই তো প্রচলন। বন্ধু-বান্ধব ছাড়া কি আনন্দ হয়? না বন্ধু-বান্ধবকে পর্দার আড়ালে রাখতে হবে। স্ত্রী শুধুমাত্র স্বামীর। এখানে কোনো ভাগ বসানোর সুযোগ নেই। শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়-স্বজনের সামনেও স্বামী-স্ত্রীর বেশভূষা শালীন হতে হবে। কোনোভাবেই এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য একে অপরকে ছোটখাটো গিফট দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। একে অপরের শ্বশুর-শাশুড়িকেও ছোটখাটো গিফট দিলে সম্পর্ক ভালো থাকার ব্যবস্থা হতে পারে।
বন্ধুর সাথে বন্ধুর বউ চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। শুধুমাত্র অবাধ মেলামেশার কারণেই এটা ঘটে থাকে। মুসলিম সমাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শিক্ষার আলোকেই আমাদের বিয়ে-শাদীসহ সব অনুষ্ঠান করতে পারলেই সমাজ ভালো হবে। ছেলেমেয়ে ভালো হবে। বাবা-মাকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। বঙ্গভবন থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেল, বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠান সবই ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশার সুযোগ ছাড়াও ব্যবস্থা করা যায়।
আমাদের ৪০ বছর বিয়ের বয়স। হালে ছেলে ও মেয়ের বিয়েতে ছেলে মেয়ের পৃথক আয়োজন করে বিয়ে-শাদী ঘটানো হয়েছে, কোনো অসুবিধা হয়নি। মন্ত্রী-এমপিসহ নামিদামি অতিথিরা যোগদান করেছে। কোনো বিরূপ মন্তব্য শোনা যায়নি। তাই আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের জবাবদিহি কিন্তু দুনিয়া ও আখিরাতে বর্তাবে। দুনিয়ার জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। দুনিয়ার জীবন আখিরাতের জীবনের তুলনায় সমুদ্রের এক ফোঁটা পানির সমতুল্য। গোটা সমুদ্রের পানির মতো আখিরাতের জীবন। সেই জীবনে আমাদের পার পেতে হবে। একটু সজাগ হলেই আখিরাতের জীবন আমরা সুন্দর করতে পারি। শিরকমুক্ত হয়ে দৈনন্দিন জীবন নবীর দেখানো ও শেখানো পথে চললেই আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে পার পেয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
বিবাহ গোপনে করা যাবে না। অবশ্যই ছেলে ও মেয়ের সাক্ষীর সামনে উভয়েরই নির্দিষ্ট পরিমাণ দেনমোহরের বিনিময়ে একে অপরকে গ্রহণ করতে রাজি হতে হবে। বিয়ে হয়ে গেলে স্বামী-স্ত্রীর পথ সম্পূর্ণ ভিন্নতা এসে যায়। বিয়ের পূর্বে ছেলেমেয়ের দিকে তাকালে পাপ হয়। আর বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দিকে তাকালে সাওয়াব লিখে দেয়া হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর রিজিকে বরকত দেয়া হয়। একে অপরের মধ্যে ভালোবাসার পরিবেশ তৈরি হয়। আল্লাহর কাছে ইবাদতের সাওয়াবও বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। তাই বিয়ে একটি পবিত্র, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানÑ যার মাধ্যমে দুটি পরিবার একত্রিত হয়।
বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে চলার অনুমোদন পায়। দুটি পরিবার একাকার হয়ে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচয় পর্ব হয়। আমাদের চলার পথ এক পরিবার থেকে ভিন্ন পরিবারে সম্পৃক্ততা বাড়ে। সমাজ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ফলে দেশ ও সমাজকে ভালোর পথে এগিয়ে নেয়া সহজ হয়। বিয়ের ব্যাপারে ১৪ জন মাহরাম মহিলা ছাড়া এতিম, ছোট-বড় পরিবারের সব মহিলাকে বিয়ে করা যাবে। মুসলমানদের তো অবশ্যই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নকারী মহিলা হতে হবে। অভিভাবকদের অনুমতিসাপেক্ষেই বিয়ের কাজ করা ভালো। বিবাহে দৃষ্টি সংযত হয়, লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। সমাজে নৈতিকতার প্রসার হয়। জেনা-ব্যভিচারের পথ সংকুচিত হয়। সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। বিয়েতে যৌতুক প্রথা একেবারেই না বলতে হবে।
বিয়ের সময় মেয়েদের ৪টি বিষয় দেখার কথা বলা হয়েছে। মেয়ের বংশ-মর্যাদা, তার সম্পদ, সৌন্দর্য ও নেক আমল। তবে নেক আমলের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আল্লাহর নবী সা. বলেছেন, দুনিয়ার যাবতীয় বস্তুই সম্পদস্বরূপ। তবে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হলো সতী-সাধ্বী নেক স্ত্রী। আল্লাহর নবী সা. বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা ঐ ব্যক্তিকে সাহায্য করেন, যে ব্যক্তি চরিত্র সংরক্ষণের জন্য বিয়ে করে।
পাত্রীকে স্বচক্ষে দেখে নেয়া উত্তম। কারণ ছেলেমেয়ের দেখার ফলে তাদের মধ্যে ভালোবাসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এক দেখাতেই দুনিয়ার বাকি সময় কাটানোর উত্তম পরিবেশ একে অপরের মধ্যে আন্দোলিত হয়। বিবাহ জীবন ভালো হয়। ছেলেমেয়ে ভালো হয়। চরিত্রবান হয়, মা-বাবার আয়ত্তে থাকে।
বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে বাহুল্য খরচ ত্যাগ করাই কল্যাণ বয়ে আনে। বিয়ের কাজে ঋণ নেয়া ভালো নয়। আমার জীবনে বিয়েতে ঋণ নেয়া থেকে বারণ করে অনেক ধন্যবাদ পেয়েছি। বিয়ের পর সংসারে খরচ বেড়ে যায়। ঋণ নিলে তা পরিশোধের চাপ পড়ে। ফলে স্বাভাবিক জীবন চালাতে বেগ পেতে হয়।
আমাদের সমাজে বিয়ের আয়োজনে মেয়েপক্ষকে অনেক বাড়তি অনুষ্ঠান করতে হয়। মেয়ে দেখার পর্ব কয়েকবার হয়। ছেলের ভাই-ভাবী ও বোনেরা একবার দেখে। মা ও খালারা আবার দেখে। বাবা-চাচা-মামারা একবার দেখে। ছেলে তার বন্ধুদের নিয়ে আবার দেখে। তাছাড়া আংটি পরানো আকদ করাসহ সবাই এসব অনুষ্ঠান মেয়ের বাবার বাড়িতেই করে থাকেন। শরিয়তে পাত্রীকে ছেলে ও তার মা, বোন মিলে দেখাকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এতে খরচেরও সাশ্রয় হয়।
বিয়েতে দাওয়াত দেয়া সীমিত করাই ভালো। উভয় পক্ষের কাছের আত্মীয়দের ছাড়া নাম কেনার জন্য মন্ত্রী, নেতা-নেত্রীদের দাওয়াতে খুব একটা ভালো ফল বয়ে আনে না। কারণ নেতা-নেত্রীর সংখ্যা তো কম নয়। তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করা যাবে না।
খাওয়া-দাওয়ার মেন্যুতেও বাহুল্য বর্জন ভালো। মানুষ কতটুকু খেতে পারে। বিয়ে-শাদীতে খাওয়ার ব্যাপারে অনেক অপচয় হয়। ‘অপচয়কারীকে শয়তানের ভাইয়ের’ সাথে আল্লাহ তায়ালা তুলনা করেছেন। তাই স্বাভাবিক খাওয়ার মেন্যু করার মধ্যেই কল্যাণ নিহিত। ইদানীং কিছু ছেলে ও মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। যাদের বয়স ৩০ পার হয়েছে, ৪০ ছুঁইছুঁই। আমি তাদের অভিভাবকদের কাছে ছেলেমেয়ের বিয়ের দেরির কারণ জানতে চাইলে তেমন কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ জানাতে পারেননি। আমাদের নবী সা. ২৫ বছরে বিয়ে করেছেন তাঁর চেয়ে ১৫ বছরের বড় এবং বিধবা বিবি খাদিজাকে। বিবি খাদিজার মৃত্যুর আগে আর কোনো বিবাহ আল্লাহর নবী সা. করেননি। এ ঘরেই ৭ সন্তান জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে বিবি ফাতিমা অন্যতম।
আমাদের সমাজে ছেলেমেয়ের বিয়ের বয়স নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি হয়। মেয়ের বয়স একটু বেশি হলেই ছেলেপক্ষের লোকদের অনাগ্রহ প্রকাশ পায়। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে মেয়ের বয়স বেশি হলেও তারা ভালো সংসার করছে। তারা ভালো সন্তানের মা-বাবা হয়েছে। ভালো বউ পেয়েছে এবং সংসার জীবনে কোনো অসুবিধা হয়নি।
আমি ছেলে ও মেয়েদের অভিভাবকদের অনুরোধ করব ছেলেমেয়েদের বিবাহের ব্যাপারে বিলম্ব না করতে। এতেই দুনিয়া ও আখিরাতের লাভ। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করানোর দায়িত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি যোগ্য পাত্র-পাত্রী জোগাড় করে দেয়াও অতি উত্তম কাজ। উত্তম পাত্র-পাত্রী জোগাড় করে দেয়ার কারণে আপনার ছেলে ও মেয়ের দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের কল্যাণ পাওয়া সহজ হবে। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার শেষ দিকেই আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে দেন। বর্তমান যুগে আবার কম লেখাপড়া ছেলেমেয়ের বিবাহ দেয়া ঠিক নয়। ভালো ছেলেমেয়ে, শিক্ষিত পাওয়া এখন মো্েটই অসম্ভব নয়। ভালো পাত্র-পাত্রী পেলেই আপনি দুনিয়া ও আখিরাতরে ভালো ফল পাবেন। নাতি-নাতনি আপনার চক্ষু শীতলকারী হবে। গোটা পরিবার সমাজ রাষ্ট্রযন্ত্র ভালোর পথে যাবে। আপনি সুখে থাকবেন। পরিবার কল্যাণের পথে থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণের পথে, ভালোর পথে। দেশ, সমাজ এগিয়ে যাবে, আন্তর্জাতিকভাবেও আপনার পরিবারের সদস্যরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে।
একটি স্মরণীয় খবর দিয়ে শেষ করতে চাই। কয়েকদিন পূর্বে বেগম সাহেবা তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বান্ধবীদের দাওয়াত দিয়ে গেট টুগেদার করলেন। সবার ছেলেমেয়েদের খোঁজখবর নিলেন ও দিলেন। সবাই তাদের বাড়ি থেকে পায়েস, পিঠাপুলি, ফল-ফলাদি; এমনকি আমাদের নাতি-নাতনি ও নাতনির দাদির জন্য উপহার আনতে ভোলেননি। বেগম সাহেবার বান্ধবী, যিনি আমাদের ছোট মেয়ের শাশুড়িও বটে। তিনিও এসেছিলেন। তিনি সাবেক সচিব। সবাই উপভোগ করলেন। তারা আবার ৪০ বছরের পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেলেন কয়েক ঘণ্টার জন্য। উপস্থিত সবাই আল্লাহর দীনের রাহবার। এ জাতীয় অনুষ্ঠানে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ উপকৃত হবে। জাতি আমাদের কাছে এমন সৌহার্দ্য পরিবেশ আশা করে। মহান আল্লাহ আমাদের সজাগ, সচেতন সমাজকল্যাণে ভূমিকা রাখার তাওফিক দিন।