অজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
No icon

ইসলামী অর্থ-ব্যবস্থার আলোকে বাজেট মূল্যায়ণ

ইসলামী নীতিমালা ও আদর্শ অনুসরণ করলে কিন্তু এখাতের খরচ আরো অনেক কমে যাবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে ইনসাফ ও সাম্য। কারণ ইসলাম সর্বপ্রকার অপচয় ও বেদরকারি খরচ থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ দায়িত্বশীলদের নিকট সম্পূর্ণ আমানত, যার একটি পয়সাও অপ্রয়োজনে ও অননুমোদিত খাতে ব্যয় করা সরাসরি দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত।

এবার নমুনাস্বরূপ রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের কিছু অপচয়ের উদাহরণ দেখা যাক-

১. বড় আকারের সরকার 

কোনো নিয়ম-নীতি না থাকায় বর্তমানে সরকারপ্রধানগণ তাদের ইচ্ছামতো সরকারের সাইজ দীর্ঘ করে থাকেন। ৬০ এর অধিক সংখ্যার মন্ত্রীসভাও এ দরিদ্র দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। আর তাদের ও তাদের পিএস, এপিএস, পিএ ও এপিএদের বেতন-ভাতা, অফিস, টেলিফোন, বাড়ি-গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের পেছনে গরীব জনগণের ট্যাক্সের কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তার সঠিক হিসাব কি কখনো করা হবে।

২. আমলাতান্ত্রিক জট

সরকারি কোনো অফিস আদালতে কেউ সামান্য কাজের জন্য কখনো গিয়ে থাকলে তাকে আর এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলার দরকার হবে না। একটি কাজের জন্য কত টেবিলে কতদিন যাবৎ ঘুরতে হয় তা ভুক্তভোগীদের অজানা নয়। এর উপরে উৎকোচের ওপেন সিক্রেট বিষয়টি তো রয়েছেই। যেখানে ২ জন লোক যথেষ্ট সেখানে ১০ জন লোক, যেখানে সর্বোচ্চ ২টি স্বাক্ষর যথেষ্ট সেখানে ক্ষেত্র বিশেষে ৪০/৫০টি স্বাক্ষরের নিয়ম শুধু সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাসই তুলছে না, বরং রাষ্ট্রীয় অগ্রগতির পেছনেও বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে।

অথচ মাঝে মাঝেই দেখা যায়, বড় বড় অফিসারদের ওএসডি করে বেকার বসিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এমনকি কোনো কোনো সরকারের আমলে তো ৫০০ -এর অধিক সচিব, যুগ্ম সচিব ও প্রথম শ্রেণীর অফিসারদের ওএসডি করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘদিন যাবৎ।

বুঝা যাচ্ছে যে, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স বিমানের কথাই ধরা যাক, সম্প্রতি সেখান থেকে এক চর্তুথাংশেরও বেশি লোক ছাটাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপরও তো বিমান চলবে। তাহলে বছর বছর ধরে তাদের পিছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হল কোন যুক্তিতে?

প্রচলিত ব্যবস্থার আরেকটি বড় অযৌক্তিক দিক হচ্ছে বেতন বৈষম্য। দেখা যায়, বেতন-ভাতার সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তরের ব্যবধান আকাশ-পাতাল অথচ জিনিসপত্রের দাম কিন্তু সকলের জন্যই সমান। ইসলাম বেতননীতির এ বৈষম্যকে কোনো মতেই সমর্থন করে না। শুধু নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী হওয়ার কারণে কেউ এত কম বেতন পাবে না যা তার সংসারের ন্যূনতম জরুরি খরচাদি পুরো করার জন্যও যথেষ্ট নয়। আবার বড় অফিসার হওয়ার বদৌলতে কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনগণের টাকার বড়  অংকের বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করবে এমন সুযোগও ইসলামে নেই। খোদ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদেরকে ইসলাম এ অধিকার দেয়নি।

ছোট একটি উদাহরণ এক্ষেত্রে টানা যেতে পারে। ইসলামের প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর একদিন মাথায় পুটলি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হযরত উমরের সাথে দেখা হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছেন? বাজারে কাপড় বিক্রি করতে যাচ্ছি, খলীফার উত্তর। তাহলে রাষ্ট্র চলবে কীভাবে? কিন্তু আমার পরিবারের খরচ তো চালাতে হবে। এ কথোপকথনের পর হযরত উমর রা. খলীফাকে নিয়ে গেলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফের রা. নিকট। তিনি সব কিছু শুনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এটুকু সম্পদ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন যা কোনো মতে কষ্ট করে খলীফার পরিবারের খরচ বহনে সক্ষম। সাথে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বললেন, জনগণের সম্পদ থেকে এর অতিরিক্ত আমি আপনাকে নেওয়ার অনুমতি দিতে পারব না।

এ জামানায় আবু বকর রা. ও উমর রা. -এর  মত হওয়া যদি সম্ভব না হয় তাই বলে তাঁদের মহান আদর্শ থেকে আলো গ্রহণ করে কমপক্ষে আয়েশী জীবন-যাপন এবং অপচয় পরিহার করাও কি সম্ভব নয়?

একজন ব্যক্তি যত বড় রাষ্ট্রীয় পদেই অধিষ্ঠিত থাকবেন, ইসলামের দৃষ্টিতে তাকে হতে হবে সে পরিমাণ আমানতদার ও নিষ্ঠাবান। বড় পদ যেমন সম্মানের তেমনি দুনিয়া ও আখেরাতে তার জবাবদিহিতাও অনেক। এটি জনগণের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করার সুযোগ, বিভিন্নভাবে তাদের সম্পদ ভোগ করার উপলক্ষ নয়।

৩. প্রসঙ্গ : জাতীয় সংসদ

জাতীয় সংসদের কোরাম সংকট এবং সরকার ও বিরোধী সদস্যদের অযাচিত বাকবিতণ্ডা রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের একটি বড় নজির। আইনসভার সম্মানিত সদস্যদের আইন প্রণয়নের বদলে সংসদে উপস্থিত না হয়ে কোরাম সংকটে ফেলা এবং উপস্থিত হলেও নেতা-নেত্রী বন্দনা ও অযৌক্তিক পক্ষপাতিত্ব ও বিরোধিতায় লিপ্ত থেকে প্রতিদিন জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করার বিষয়ে সংবাদপত্রগুলোতে কম লেখালেখি হয়নি।

৪. দামি গাড়ি ও গাড়িবহর

যে দেশের জনগণের বৃহদাংশ চরম দারিদ্র্যের মাঝে বাস করে সে দেশের দায়িত্বশীলগণ এবং সরকারি কর্মকর্র্তাদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দামি গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া কেমন অপচয় তা বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। এছাড়া আমাদের সমাজে গাড়িবহর বলে একটি কথা আছে। অমুক সাহেবের গাড়িবহর আসছে, তমুক সাহেবের গাড়িবহর যাচ্ছে। মনে হয় যেন একটি দু’টি গাড়ি দিয়ে এখন আর বড়ত্বের পরিচয় হয় না, বরং প্রয়োজন গাড়িবহর, সাথে থাকতে হবে বহু অধীন লোক ও সমর্থক। তাহলে এত গাড়ির মূল্য, তেল-খরচ, চালক-খরচ ও পরিচালনা ব্যয় কে বহন করবে?

৫. অবহেলা জনিত খরচ

রাষ্ট্রের এমন বহু খরচ হয়ে থাকে যেগুলো পরবর্তীতে শুধু গচ্চা হিসেবেই গণ্য হয়। যেমন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ-ত্রুটির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া, কারো গাফলতি বা দুর্নীতির কারণে কোনো কিছু বেশি মূল্যে খরিদ হওয়া ইত্যাদি। এ সকল অপচয় ইসলাম কোনো মতেই বরদাশত করবে না, বরং এর সম্পূর্ণ জরিমানা বর্তাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাঁধে। এমনিভাবে শুধু জেদাজেদির বশবর্তী হয়ে অপব্যয় করার নজির হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারির প্রথম ভাগ পর্যন্ত রাষ্ট্রের খচরগুলোকে, যেখানে শুধু বাতিল হয়ে যাওয়া ইলেকশন বাবদ নির্বাচন কমিশনের খরচ ২শ কোটি টাকার বেশি!

৬. সাজসজ্জাবিলাসিতা ও আপ্যায়ন

রাষ্ট্রীয় টাকায় কত প্রকারের সাজসজ্জা ও বিলাসিতা হয় এবং বিভিন্ন পার্টিতে কত টাকা আপ্যায়ন ইত্যাদি বাবদ খরচ হয় তার হিসাব জনগণ পর্যন্ত খুব কমই পৌঁছায়। এ দেশের ক্ষমতাবানদের মধ্যে ব্যতিক্রমির রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের কথা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে। তিনি বঙ্গভবনের জন্য আপ্যায়ন বাবদ বরাদ্দের কয়েক লক্ষ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় আতিথেয়তায়ও কমতি করেননি।

এ ধরনের আরো অসংখ্য উদাহরণ রাষ্ট্রীয় অপব্যয়ের নজির হিসেবে পেশ করা যেতে পারে। গভীরভাবে হিসাব করলেই দেখা যাবে, এসকল অপব্যয় রোধ করা সম্ভব হলে রাষ্ট্রের খরচ কতগুণ হ্রাস পায়। খরচ যখন কমবে তখন আয় কম হলেও চলবে। ট্যাক্সের বোঝাও জনগণের উপরে চাপাতে হবে না। আর ঋণের বোঝা বাড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা সুদও পরিশোধ করতে হবে না।

আয়ের উৎস

ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আয়ের উৎসগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে সমাজে ইনসাফ ও সাম্য সৃষ্টি হয়, অর্থের সুষম বণ্টন হয় এবং গরীব ও ধনীর ব্যবধান হ্রাস পায়। এ ব্যবস্থায় যে সকল উৎস থেকে সরকারের কোষাগারে অর্থ আসবে সেগুলো হল :

১. উশর 

যে সকল জমি উশরী সেগুলোর ফসল যদি সেচের মাধ্যমে উৎপাাদিত হয় তবে সে ফসলের ৫% আর যদি ফসল উৎপাদনে সেচের প্রয়োজন না হয় তাহলে ১০% রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।

২. খারাজ 

উশরী নয় এমন জমিতে সরকার কর্তৃক অর্পিত স্বল্প হারে শুল্ক প্রদেয় হবে; যাকে খারাজ বলা হয়।

৩. জিযিয়া

ইসলামী সরকারের অধীনে বসবাসকারী অমুসলিমদের উপর কোনো উশর আরোপিত হবে না, বরং তাদেরকে প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী নির্ধারিত হারের শুল্ক দিতে হয়, যাকে বলা হয় জিযিয়া।

৪. যাকাত

ইসলামী সরকারের অন্যতম আয়ের উৎস হল যাকাত। নির্ধারিত নেসাবের মালিক ধনী ব্যক্তিদেরকে তাদের যাকাতযোগ্য সম্পদের ২.৫% প্রদান করতে হয় গরীব-দুঃখীদের জন্য। এছাড়া উট, গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদির খামারের মালিকদেরকে নির্ধারিত হারে যাকাত দিতে হয়।

৫. খনিজ সম্পদ

রাষ্ট্রের যেকোনো খনিজ সম্পদের ৫% সরাসরি বাইতুল মালের প্রাপ্য।

৬. গনীমতের শতকরা ৫%

৭. পরিত্যক্ত ও লাওয়ারিশ সম্পদ

৮. বাইতুল মালের জন্য ওয়াকফকৃত সম্পত্তি এবং তা থেকে অর্জিত আয়

৯.  স্বেচ্ছায় প্রদত্ত অনুদান

১০. অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ ট্যাক্স

উপরোক্ত উৎসগুলো থেকে অর্জিত আয় যদি কোনো সময় জরুরি খরচাদি পূরণের জন্য যথেষ্ট না হয় তবে সাময়িক ভিত্তিতে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের উপর বিশেষ শুল্ক আরোপের সুযোগ রয়েছে। যেমন কোনো সময় বন্যা, জালোচ্ছ্বাস বা এ ধরনের অন্য কোনো বড় বিপদ দেখা দিলে অথবা কখনো দুর্ভিক্ষ ও মহামারী সৃষ্টি হলে ওই সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে হবে। কারণ ইসলামের বিধান হল, গরীব-দুঃখীরা মোটামুটি খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে তাদের প্রতি এতটুকু দায়িত্ব ধনীদের রয়েছে। সুতরাং কোনো সময় যদি সাধারণ নিয়মে অর্জিত সম্পদ যথেষ্ট না হয় তবে সংকটকালীন সময়ে ধনীদের উপর অন্তর্বর্তীকালীন শুল্ক আরোপের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এ ধরনের ক্ষেত্রে তাদের থেকে সুদবিহীন করজও গ্রহণ করা যেতে পারে।

উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলো ছাড়া সাধারণ জনগণের উপর শুল্ক আরোপের সুযোগ ইসলামী অর্থনীতিতে নেই। এমনকি দরিদ্র অমুসলিম বাসিন্দাদের থেকেও জিযিয়া ও কর আদায়ের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২য় খলীফা হযরত উমর রা. থেকে  এবিষয়ে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। মোটকথা, বর্তমানের ভ্যাট ও পরোক্ষ ট্যাক্স পদ্ধতি যা সরাসরি ভোক্তা সমাজের উপর অর্পিত হয়ে থাকে তার কোনো সুযোগ ইসলামী অর্থব্যবস্থায় নেই। ২ টাকা, ৫ টাকার সামান্য জিনিস কেনার ক্ষেত্রে এমনকি একটি ট্যাবলেট-ক্যাপসুল খরিদের সময়ও সকলকেই পরিশোধ করতে হয় ভ্যাট-ট্যাক্স। এমনকি যদি লোকটি ভিক্ষুক বা সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র ব্যক্তিটিও হয়ে থাকে। অর্থাৎ ট্যাক্স যে শুধু কম প্রয়োজনীয় বা বিলাস দ্রব্যাদির উপর আরোপিত হয় তা নয়; বরং চলতি ব্যবস্থায় খাদ্য, বস্ত্র, পানীয়, বাসস্থান (তৈরির উপকরণাদি), জ্বালানী, ওষুধ-চিকিৎসা ইত্যাদি খাতগুলো যা ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেরই দরকারি এগুলোর কোনোটিই ট্যাক্সের আওতামুক্ত নয়। তাহলে যেন ট্যাক্স বা বাজেটের জন্যই জনগণ, জনগণের জন্য ট্যাক্স-বাজেট নয়। পক্ষান্তরে ইসলামী নীতিতে বাজেট হবে জনগণের জন্য, সাধারণ দরিদ্র সমাজের দুঃখ, দুর্দশা লাঘব ও সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য। রাষ্ট্রের সকল আয়-সম্বলহীন বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী-পরিত্যক্তা এবং নিজের আয়-রোজগারে সংসারের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হয় না এমন পরিবার, বৈধ কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়া লোকজনের মোটামুটি জীবনধারণ হয় এ পরিমাণ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ইসলামী অর্থনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য।