নামাজ ও রোজা ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফরজ আমল, ইমানের পর ইসলামের মূল পাঁচ স্তম্ভের অন্তর্ভুক্ত। কোনো অসুস্থতা, অসুবিধা বা অবহেলায় নামাজ বা রোজা ছুটে গেলে যত দ্রুত সম্ভব আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ওই নামাজ ও রোজার কাজা আদায় করা উচিত।কেউ যদি রোজা রাখতে পুরোপুরি অক্ষম হন, তাহলে তিনি রোজার বদলে ফিদয়া দেবেন অর্থাৎ প্রতিটি রোজার জন্য কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে দুবেলা খাবার খাওয়াবেন অথবা দুবেলা খাবারের মূল্য দিয়ে দেবেন।রোজা বা নামাজের কাজা আদায় করার আগেই যদি কারো মৃত্যু হয়ে যায়, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয় স্বজনের জানা থাকে, তাহলে তারা তার পক্ষ থেকে নামাজ পড়ে বা রোজা রেখে তার কাজা আদায় করতে পারবেন না। এভাবে একজনের নামাজ-রোজা আরেকজন রেখে কাজা আদায়ের সুযোগ ইসলামে নেই।আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে (রা.) অন্যের পক্ষ থেকে রোজা রাখা বা নামাজ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন,
لاَ يَصُومُ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ، وَلاَ يُصَلِّي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ. কেউ অন্যের পক্ষ থেকে রোজা রাখবে না এবং অন্যের পক্ষ থেকে নামাজ পড়বে না। (মুআত্তা ইমাম মালেক: ৯৪)তবে মৃতের কাজা রোজার জন্য ফিদয়া আদায় করা যায়। প্রতিটি রোজার জন্য কোনো দরিদ্রকে দুবেলা খাবার বা তার মূল্য দান করে দিতে হবে। এ ছাড়া মৃতের জন্য নফল নামাজ পড়ে, নফল রোজা রেখে এর সওয়াব মৃতের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করলে আশা করা যায় তিনি সওয়াব পাবেন।