কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান

জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমানের শেষ ঠিকানা জান্নাত আর কুফরের শেষ গন্তব্য জাহান্নাম। জন্মগতভাবে মানুষ কাফির হওয়া ছাড়াও নানা কারণে তার মধ্যে কুফরির প্রকাশ ঘটে এবং ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পায়। ফলে সে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়। নিম্নে এর কারণগুলো উল্লেখ করা হলো :

সংশয় বা অজ্ঞতা :ঈমান হলো অবিচল বিশ্বাসের নাম। সংশয়, অজ্ঞতা-অনুমান আর কল্পনা-কুসংস্কারের কোনো অবকাশ ঈমানে নেই। ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, নিঃসন্দেহে অজ্ঞতা হলো সব বিশৃঙ্খলা মূল। দুনিয়া ও আখিরাতে মানুষের সব আপদের পেছনে রয়েছে জাহালত তথা অজ্ঞতা। তবে এই ধরনের ব্যক্তিরা যদি ওলামায়েকেরামদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে এবং তাঁদের নির্দেশিত পন্থা অবলম্বন করে তাহলে এই সমস্যাসহ অন্যান্য আরো রুহানি রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা সহজ হবে। হাদিসে এসেছে, অজ্ঞতার প্রতিষেধক কেবল প্রশ্ন করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৩৭)

প্রবৃত্তির অনুসরণ :যেসব কারণে মানুষ কুফরের দিকে ধাবিত হয় তার মধ্যে প্রবৃত্তির অনুসরণ অন্যতম। কারণ এটি বড় ধরনের আত্মিক রোগ। পবিত্র কোরআনে এসেছে,এ বিষয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণ কোরো না। তাহলে তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য আছে কঠোর শাস্তি। এ কারণে যে তারা বিচার দিবসকে ভুলে গেছে। (সুরা : সোয়াদ, আয়াত : ২৬ )

আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা সর্বদা নিজেদের সত্য মনে করে এবং বিরোধীপক্ষকে কাফির আখ্যায়িত করে। আর এ শ্রেণির মানুষকে চেনার এটাই মাধ্যম। ইবনে কুতাইবা (রহ.) বলেন, এই উম্মত তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তাদের ওলামায়েকেরাম হবেন বয়োজেষ্ঠ; যুবক নয়। কারণ বয়স্ক মানুষদের তারুণ্যের আবেগ, স্বপ্ন ও অস্থিতিশীলতা থাকবে না। তার মধ্যে থাকবে বয়সের অভিজ্ঞতা। ফলে তাঁর ইলমের মধ্যে কোনো সংশয়ের অবকাশ থাকবে না, মনগড়া বিষয়ের দখল থাকবে না এবং শয়তানের ধোঁকা তাঁর অবস্থান নড়াতে পারবে না। আর যুবকদের মধ্যে এসব বিষয় ঘটে যায়, যা থেকে বয়োবৃদ্ধরা সহজেই বেঁচে থাকতে পারেন। ফলে সে নিজেও ধ্বংস হয় এবং অপরকেও ধ্বংস করে।

দ্বিন পালনে উদাসীনতা :দ্বিন পালনে উদাসীনতা ও অমনোযোগ নিন্দনীয়। কারণ তা আল্লাহ, তাঁর স্মরণ, ইবাদত ও আনুগত্য থেকে বিরত রাখে। ফলে সে কুফরের দিকে ধাবিত হয়। আল্লাহ বলেন,তোমরা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৫)

এর থেকে পরিত্রাণের জন্যও নিজেকে এমন পরিশুদ্ধ মানুষদের সংশ্রবে রাখা উচিত, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। আমলেইর প্রতি আগ্রহ বাড়ে।