যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

নফল ইবাদত সম্পর্কে কী বলেছেন নবিজী (সা.)

ভালো কাজ কিংবা নফল ইবাদত ছোট হলেও তাতে অবহেলা নয়। কারণ আমল যত ছোটই হোক না কেন তাতে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। হাদিসে পাকে এমনই দিকনির্দেশনা এসেছে। বলা তো যায় না! বান্দার কোন ছোট আমলটি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কাজে আসবে কিংবা অল্প নফল আমলে বড় বড় ফরজ ইবাদতের ভুল-ত্রুটি মাফ হয়ে যাবে। তাহলে নফল ইবাদতে করণীয় কী?

বান্দা মহান আল্লাহর কাছে তার কর্ম অনুযায়ী প্রতিফল বা পারিশ্রম পাবে এটাই স্বাভাবিক। কেউ যদি নির্ধারিত কাজের বিনিময়ের পাশাপাশি সামান্য পরিশ্রমে কিছু বাড়তি পারিশ্রমিক পায় তবে তাতে কয়েকগুণ বেশি খুশি ও আনন্দ বেড়ে যায়। মনের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি বিরাজ করে। ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতও এমনই।তাই ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদত অল্প হলেও তা মুমিনের জন্য প্রশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য খুবই কার্যকরী। আল্লাহর ভালোবাসা ও সান্নিধ্য পেতে ফরজ ইবাদতের বিকল্প নেই। কিন্তু নফল ইবাদত যত ছোটই হোক না কেন; এগুলো ফরজ ইবাদতের ত্রুটি-বিচ্যুতি বা ঘাটতিগুলো পূরণ করে দেয়। সুতরাং ভালো কাজ অল্প বা ছোট হলেও তা পালনের চেষ্টা করা- মুমিন মুসলমানের বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত।ভালো কাজ যত ছোট হোক; তার বিনিময় অনেক বড় ও উপকারি। যদিও তা চলার পথে রাস্তা থেকে ছোট্ট একটি পাথর সরিয়ে দিয়ে হলেও হয়। কিংবা কোনো পথিককে গন্তব্যের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে হলেও।

মূল কথা হলো- যে কোনো নফল ইবাদত, সেটা যতো ছোটই হোক না কেন; তা গুরুত্বের সঙ্গে দরদ দিয়ে পালন করা উচিত। কারণ কোনো মানুষই জানে না যে- আল্লাহ তাআলা তার কোন আমলটি কবুল করে নিয়েছেন। কিংবা কারো জানার সুযোগ নেই যে- কোন আমলটি মহান আল্লাহর বেশি পছন্দনীয়। এ কারণেই হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু যার গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তুমি পুণ্যের (নেকির) কোনো কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পার। অর্থাৎ হাসিমুখে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করা বা ভালো-মন্দ অবস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করা কিংবা খোঁজ-খবর নেওয়াও একটি পুণ্যের কাজ। (মুসলিম)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ভালো কাজ বা নেকির কাজ যত ছোট ও অল্পই হোক না কেন; তাতে অবহেলা নয়; বরং সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে তা পালন করা জরুরি। কারণ আল্লাহর কাছে কোন ছোট আমলটি গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে তা কারো জানা নেই। তাই ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি অল্প বা ছোট হলেও বেশি বেশি নফল ইবাদত করা। ভালো কাজে অংশ গ্রহণ করা। অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই মুমিনের সর্বোত্তম কাজ।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি ছোট কিংবা অল্প হলেও নফল ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। পরকালের সফলতায় নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্বারোপ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।