কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

সালামের সঠিক নিয়ম

সালাম আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে- শান্তি, কল্যাণ, শুভকামনা। সালাম পরিপূর্ণ ইসলামি অভিবাদন। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে একজন লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। নবি কারিম (সা.) বললেন, ১০ (নেকি)। তারপর অন্য এক লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। নবি কারিম (সা.) বললেন, ২০। অতঃপর আরেক লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। নবি কারিম (সা.) বললেন, ৩০।সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালামের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ জবাব হলো-ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। নিয়ম হলো-কথা বলার আগেই সালাম দেওয়া। প্রথমে সালাম না দিলে রাসূল (সা.) কথা বলার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম দেয় না তোমরা তাকে (কথা বলার) অনুমতি দিও না।সশব্দে ও শুদ্ধ উচ্চারণে সালাম ও সালামের উত্তর দিতে হবে যাতে অন্যরা শুনতে পায়। হাত বা মাথার ইশারা ইত্যাদির মাধ্যমে সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়া মাকরুহ। হ্যাঁ, দূরে হলে বা শুনতে কোনো কিছু বাধা হলে মুখে উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে হাত বা মাথার ইশারায় সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া যাবে। কাছে হলে সালামে হাত উঠানো অপ্রয়োজনীয় ও সুন্নতের খেলাফ।