আল্লাহ তাআলা তার মহত্ব ঘোষণায় তাকবির পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ঈদের চাঁদ ওঠার পর থেকে তাকবির পড়াকে ওয়াজিব বা আবশ্যক বলেছেন। ঈদের (শাওয়ালের) চাঁদ দেখার পর থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে আসা পর্যন্ত তাকবির পড়তে হয়। এতে বরকত ও পবিত্রতা অর্জিত হয়। মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমে নির্দেশ দেন-
وَلِتُكْمِلُواْ الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ اللّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ আর তোমাদের আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।( সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)
ঈদের দিন যে তাকবির পড়বেন রমজানের রোজা পালনকারীরা ঈদের চাঁদ দেখার পর উচ্চ আওয়াজে তাকবির পড়বেন। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকবির পড়বেন। ঈদের নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে তাকবির পড়বেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত উম্মে আতিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এমনকি আমরা মাসিক হওয়া নারীদের নিয়েও ঈদগাহে বের হতাম। তারা পুরুষদের পেছনে অবস্থান করত। পুরুষদের তাকবিরের আওয়াজ শুনে নারীরাও তাকবির পাঠ করতো। তারা দোয়া শুনেও দোয়া করতো। তারাও ঈদের বরকত ও পবিত্রতা আশা করতো। (বুখারি ও মুসলিম)
১. হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়া্ল্লাহু আনহু তাকবির পাঠ করে বলতেন- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ। ২. হজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد اَللهُ اَكْبَر وَأَجًلُّ اَللهُ اَكْبَر عَلَى مَا هَدَانَا উচ্চারণ :আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ আল্লাহু আকবার ওয়া আঝাল্লু আল্লাহু আকবার আলা মা হাদানা। ৩. অন্য এক বর্ণনায় এভাবে তাকবিরে পাঠের কথা এসেছে- اَللهُ اَكْبَرْ كَبِيْراً اَللهُ اَكْبَر كَبِيْراً اَللهُ اَكْبَروَ أَجَلُّ اَللهُ اَكْبَر وَلِلهِ الْحَمْد উচ্চারণ :আল্লাহু আকবার কাবিরা, আল্লাহু আকবার কাবিরা, আল্লাহু আকবার ওয়া আঝাল্লু, আল্লাহু আবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
উল্লেখ্য, পুরুষরা এ তাকবির উচ্চস্বরে পাঠ করলেও নারীরা তা নিম্নস্বরে পাঠ করবে। নারীদের তাকবিরের আওয়াজ যেন গায়রে মাহরাম তথা পর পুরুষ শুনতে না পায়।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঈদের দিন তাকবির পাঠ করার তাওফিক দান করুন। ঈদের দিনের বরকত ও পবিত্রতা অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।