যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

কোরবানি কয়দিন করা যায়?

ঈদুল আজহার নির্ধারিত দিন ১০ জিলহজ। মুসলিম উম্মাহ এ দিনেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন। ঈদের নামাজ পড়েন এবং পশু কোরবানি করেন। কিন্তু কোরবানি কি শুধু ১০ জিলহজ সম্পন্ন করতে হবে? নাকি কোরবানির জন্য আরও সময় পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কী?

না, কোরবানি শুধু একদিনই নয় বরং ১০ জিলহজ ঈদুল আজহার দিনসহ আরো দুইদিন কোরবানি করা যাবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানি বৈধ নয়।যদি কেউ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, ১০ ও ১১ জিলহজ সফরে থাকে। তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। 

তবে কোরবানির সময় প্রসঙ্গে বিখ্যাত গ্রন্থ কুদুরিতে এসেছে, ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। কিন্তু যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয় বা ব্যবস্থা নেই, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা বৈধ হবে। ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সময় তিন দিন। যারা কোনো কারণে কোরবানি করতে পারেননি, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিন তথা ১১ ও ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশু জবাই করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।