যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

সন্তানকে শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলা যাবে?

শিশুরা কোনও খেলনা কেনার জন্য বায়না ধরলে বা কিছু নিয়ে বারবার জেদ করলে বাবা-মা শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য অনেক সময় মিথ্যা বলেন। তাৎক্ষণিক শিশুটি হয়তো থেমে যায়। আবার সময়ের সাথে সাথে ভুলেও যায় যে কি নিয়ে সে বায়না ধরেছিল। অভিভাবকরা সন্তানকে থামাতে গিয়ে মিথ্যা শান্ত্বনা দেওয়ার বিষয়টি একেবারে স্বাভাবিক মনে করেন।শিশুকে মিথ্যা শান্ত্বনা দেওয়ার কারণে গুনাহ হয় কিনা-এমন ভাবনাও আসে না অনেকের মনে। অথচ শিশুকে শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলা নাজায়েজএবং এর কারণে গুনাহ হয়।শিশুরা অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে, শৈশবে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সে যা শিখছে আগামীতে নিজের জীবনে এটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বলা যায় মিথ্যা শান্ত্বনার মাধ্যমে অবচেতন মনেই শিশুকে মিথ্যা শেখানো হচ্ছে।

আর শৈশব থেকেই মিথ্যার প্রতি শিশুদের ঘৃণা তৈরি করা উচিত, কিন্তু অভিভাবকের কাছ থেকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হলে ;মিথ্যা বলা তাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অভিভাবকের সতর্ক থাকা একান্ত কর্তব্য।

কিশোর সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আমির রা. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ আমাদের বাড়িতে বসা ছিলেন, এমতাবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বললেন, এসো তোমাকে একটি জিনিস দিব।

রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি তাকে কি দিতে চাও? মা বললেন, আমি তাকে একটি খেজুর দিতে চাই। রাসূলুল্লাহ বললেন, তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে তবে তোমার নামে একটি মিথ্যার গুনাহ লেখা হতো। -(আবু দাউদ, ৪/২৯৮)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা পরিহারের কথা বলেছেন। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা সত্যকে আঁকড়ে ধরো। কারণ সত্য পুণ্যের পথ দেখায় আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়। কোনো ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বললে এবং সর্বদা সত্যের অনুসন্ধানী হলে সে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লিখিত হয়।

আর তোমরা মিথ্যা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকো। কারণ মিথ্যা পাপাচারের রাস্তা দেখায় আর পাপাচার জাহান্নামের রাস্তা। কোনো ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা কথা বললে এবং সর্বদা মিথ্যার অনুসন্ধানী হলে সে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদীরূপে পরিগণিত হয়। -(মুসলিম, হাদিস : ২৬০৭)