যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ভূমিকম্প সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছিলেন

সম্প্রতি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বহু অংশে এক প্রবল ভূমিকম্পের পর হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৮। ঘরবাড়ি হারানোর পাশাপাশি প্রচণ্ড শীত ও তুষারপাতের মধ্যে গুঁড়িয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের এখন দুর্ভোগের শেষ নেই।

মূলত এ ভূমিকম্প মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তা। কারণ পৃথিবীতে যখন ব্যাপক হারে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, অন্যায়-অবিচার ও বাদ্যযন্ত্রের প্রকাশ ঘটবে, তখন এ জাতি ভূমিকম্পের মুখোমুখি হবে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এ উম্মত ভূমিকম্প, বিকৃতি এবং পাথরবর্ষণের মুখোমুখি হবে। একজন সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, কখন সেটা হবে হে আল্লাহ রাসুল। তিনি বলেন, যখন গায়িকা এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রকাশ ঘটবে এবং মদপানে সয়লাব হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২২১২)

আর ভূমিকম্পের বিভীষিকা কত মারাত্মক কোরআনের এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা তা তুলে ধরে বলেন, হে মানব সকল, তোমরা ভয় করো তোমাদের রবকে। নিশ্চয়ই কিয়ামত দিবসের ভূকম্পন হবে একটা মারাত্মক ব্যাপার। যে দিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, স্তন্যদায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। দৃশ্যত মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত হবে না। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। (সুরা : হজ, আয়াত : ১-২)

ভূমিকম্পের আজাবে ধ্বংস হয়েছে যে জাতি : সালেহ ও শোয়াইব (আ.)-এর সম্প্রদায় তাদের নবীদের অবাধ্য ছিল। ভূমিকম্পের আজাব দিয়ে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিল। তা ছাড়া এটি কিয়ামতের একটি অন্যতম আলামত। কিয়ামত যতই নিকটবর্তী হবে, ভূমিকম্পের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত হবে না, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে, খুনখারাবি বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ এত বৃদ্ধি পাবে যে তা উপচে পড়বে। (বুখারি, হাদিস : ১০৩৬)

আরেক বর্ণনায় এসেছে, ইবনে হাওয়ালা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমার মাথা বা মাথার তালুতে হাত রেখে বলেন, হে ইবনে হাওয়ালা, যখন তুমি দেখবে যে বাইতুল মাকদিসে (সিরিয়ার) ভূমিতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন মনে করবে অধিক ভূমিকম্প, বিপদ-আপদ, মহা দুর্ঘটনা ও পেরেশানি সন্নিকটে। কিয়ামত তখন মানুষের এতই নিকটবর্তী হবে, যেমন আমার এ হাত তোমার মাথার যত কাছে আছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৩৫)