অজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
No icon

আল্লাহর নবি ইবরাহিমের (আ.) আদর্শ

ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নবি এবং তার অত্যন্ত নেক ও প্রিয় একজন বান্দা। তার ইমানের দৃঢ়তা, আল্লাহমুখিতা, একনিষ্ঠতা ছিল অতুলনীয়। কোরআনে আল্লাহ তাআলা নবি ইবরাহিমের (আ.) আনুগত্য ও একনিষ্ঠতার প্রশংসা করেছেন এবং নবিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন তার মিল্লাত বা আদর্শ অনুসরণ করতে। আল্লাহ বলেন,

إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ شَاكِرًا لِأَنْعُمِهِ اجْتَبَاهُ وَهَدَاهُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ وَآتَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ ثُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا নিশ্চয় ইবরাহিম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর একান্ত অনুগত ও একনিষ্ঠ। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞ; আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে পরিচালিত করেছিলেন সঠিক পথে। আমি তাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করেছিলাম, আর আখেরাতেও তিনি অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। তোমার প্রতি ওহি করছি যে, তুমি একনিষ্ঠ ইবরাহিমের মতাদর্শ অনুসরণ কর। (সুরা নাহল: ২০-২৪)

আরেকটি আয়াতে যারা নবি ইবরাহিমের (আ.) মিল্লাত থেকে বিমুখ হয়, তাদেরকে নির্বোধ বলা হয়েছে। একইসাথে বলা হয়েছে তিনি আল্লাহর নেক ও নির্বাচিত বান্দা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ مَنۡ یَّرۡغَبُ عَنۡ مِّلَّۃِ اِبۡرٰهٖمَ اِلَّا مَنۡ سَفِهَ نَفۡسَهٗ وَ لَقَدِ اصۡطَفَیۡنٰهُ فِی الدُّنۡیَا وَاِنَّهٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ لَمِنَ الصّٰلِحِیۡنَ আর যে নিজকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের আদর্শ থেকে বিমুখ হতে পারে? আর অবশ্যই আমি তাকে দুনিয়াতে বেছে নিয়েছি এবং নিশ্চয় সে আখিরাতে নেককারদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। (সুরা বাকারা: ১৩০)

নবিজির (সা.) যুগে ইহুদি ও খৃষ্টানরাও নবি ইবরাহিমকে (আ.) অনুসরণের দাবি করতো। কিন্তু তাদের ধর্মে বিকৃতি ও শিরক ঢুকে পড়ার কারণে তারা ইবরাহিমের (আ.) আদর্শের প্রকৃত অনুসারী ছিল না। ইবরাহিমের আদর্শের প্রধান বিষয়ই হলো শিরকমুক্তি, আল্লাহর একত্বে দৃঢ় ইমান ও আল্লাহর নির্ভেজাল আনুগত্য। তাই ইহুদি, খৃষ্টানরা নয়, তার প্রকৃত অনুসারী তারাই যারা যথাযথভাবে ইসলাম গ্রহণ করে ও পালন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

مَا كَانَ اِبۡرٰهِیۡمُ یَهُوۡدِیًّا وَّ لَا نَصۡرَانِیًّا وَّ لٰكِنۡ كَانَ حَنِیۡفًا مُّسۡلِمًا وَ مَا كَانَ مِنَ الۡمُشۡرِكِیۡنَ اِنَّ اَوۡلَی النَّاسِ بِاِبۡرٰهِیۡمَ لَلَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡهُ وَ هٰذَا النَّبِیُّ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ اللّٰهُ وَلِیُّ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ইবরাহিম ইহুদি ছিলেন না, খৃষ্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ইবরাহিমের সবচেয়ে নিকটবর্তী তারা, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবি ও মুমিনগণ। আর আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক। (সুরা নাহল: ৭৬, ৬৮)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে নবি ইবরাহিমের আদর্শের প্রকৃত অনুসারী হওয়ার তওফিক দান করুন!