এক হাদিসে নবীজি সা. বলেছেন, আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ ও অনুকম্পা প্রদর্শনকারীদের প্রতি আল্লাহ রহমানুর রহীম অনুগ্রহ ও দয়া বর্ষণ করেন। সুতরাং তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে আকাশের মালিক তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি)
তিনি শুধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখাননি। প্রাণী, পশু-পাখিদের প্রতিও তার ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। পশু, পাখীকে কষ্ট দিতে নিষেধ করেছেন তিনি। বিড়ালপ্রেমী সাহাবি আব্দুর রহমানকে স্নেহভরে তিনি আবু হুরায়রা নাম দিয়েছিলেন। এক সাহাবি একবার এক পাখি শিকার করেছিলেন। তিনি তাকে পাখিটিকে কষ্ট না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
একদিন প্রিয় নবী সা. তাঁর সাহাবাদের নিয়ে বসে ইসলামকে মানবতার দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার জন্য পরামর্শ করছিলেন। এমন সময় একজন সাহাবি কয়েকটি পাখির বাচ্চা ধরে নিয়ে উপস্থিত হলেন। আর সেই সাহাবির মাথার ওপর দিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মা পাখিটি কিচিরমিচির করতে করতে উড়ে আসছিল। সে তার বাচ্চাদের জন্য কিচিরমিচির করছিল।
নির্মম দৃশ্যটি আল্লাহর নবী সা.-এর দৃষ্টিগোচর হতেই তাঁর অন্তর যেন অজানা ব্যথায় ব্যথিত হল। সন্তানহারা মা পাখিটির আহাজারি নবীজীর কোমল হৃদয়ে বিষাক্ত তীরের মতো বিঁধল। নবী সা. সাহাবাকে একান্তভাবে কাছে ডেকে নিলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে জিজ্ঞেস করে ঘটনাটা মনোযোগের সঙ্গে শুনলেন। সে সাহাবি দয়ার নবীর কষ্টমাখা চেহারা দেখেই বিষয়টি আঁচ করেন।
নবী সা. সাহাবাকে পাখিটি রেখে আসার কথা বললেন। সাহাবি দ্রুত হেঁটে যেখান থেকে পাখির বাচ্চাগুলো নিয়েছিলেন সেখানে রেখে আসলেন। (আবু দাউদ)