যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মাহে রমজানের প্রস্তুতি

রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আসছে পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক। রমজান মাসের আমল ও ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে যে মাসের সমাপ্তিতে এই মহিমান্বিত মাসের আগমন সেই শাবান মাসের ও রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত।শাবান মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতির মাস হিসেবে গ্রহণ করে রাসূল সা: বিশেষ দোয়া করতেন এবং সাহাবিদেরও শিক্ষা দিতেন। রাসূল সা: এই বলে দোয়া করতেন যে, হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসে আমাদের বিশেষ বরকত দান করো এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে দাও।রমজান মাসের প্রস্তুতির লক্ষ্যে শাবান মাসকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেন- রাসূল সা: শাবান মাসের চাঁদের কথা এত গুরুত্বের সাথে স্মরণ করতেন যা অন্য মাসের বেলায় হতো না। মাহে রমজানের মর্যাদা রক্ষায় এবং এর হক আদায়ের অনুশীলনের জন্য রাসূল সা: শাবান মাসে অধিক হারে রোজা রাখতেন।শাবান মাসের বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হলো- এ মাসের পঞ্চদশতম রাত যা শবেবরাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতেরও রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। শাবান মাস হলো মাহে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাস। তাই রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণে শাবান মাসের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

শাবান মাসের পরিচিতি : ইসলামী বর্ষপঞ্জিকায় অষ্টম মাস হলো শাবান মাস। যা রজব ও রমজান মাসের মধ্যবর্তী মাস শাবান। এ মাস বড় পুণ্যময় ও ফজিলতময়। রমজানের আগমনী বার্তার মাস। রমজানের পূর্ববর্তী নিকটতম মাস হিসেবে এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক।রাসূল সা: বলেন, রজব মাসে চাষাবাদ করে ইবাদতের বীজ বপন করো। শাবান মাসে তাতে পানি দাও এবং রমজান মাসে এর ফসল আহরণ করো।শাবান মাসের নামকরণ : শাবান আরবি শব্দ। যার অর্থ ছড়িয়ে পড়া, বিস্তৃতি লাভ করা। যেহেতু এ মাসে আল্লাহ তায়ালার অপার অনুগ্রহ ও দয়া বিস্তৃতি লাভ করে জগতবাসীর ওপর এবং মুমিনদের প্রতি এ মাসে তার বিশেষ কৃপার দৃষ্টির শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়, তাই এ মাসকে শাবান নামকরণ করা হয়েছে। এ মাসে যারা রোজা রাখে তাদের জন্য রয়েছে অনেক কল্যাণ ও বরকত।শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত : প্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: বলেন, তোমরা রমজানের উদ্দেশ্যে শাবান মাসের চাঁদের হিসাব রাখবে। কেননা, শাবান মাসের চাঁদের হিসাব নির্ভুল হলে রমজানের চাঁদের বিষয়ে মতভেদ হবে না। মুয়াত্ব এ ইমাম মালিকে বর্ণিত আছে, হজরত আয়েশা রা: বলেন, রাসূল সা: অন্যান্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন। শাবান মাস এলে রাসূল সা: স্বীয় আমলের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ব্যাপকহারে বাড়িয়ে দিতেন এবং সবাইকে অধিক নেক আমলের প্রতি উৎসাহ দিতেন।

হজরত আয়েশা রা: বলেন, রাসূল সা: বলেছেন- রমজান হলো আল্লাহর মাস। কেননা, রমজান মাসের রোজা রাখাকে তিনি ফরজ করেছেন। আর শাবান মাস হলো আমার মাস, অর্থাৎ এ মাসে রোজা ইত্যাদি নফল কাজ আমি সুন্নত করেছি। তাই শাবান মাস হলো পরিত্রাণকারী আর রমজান মাস হলো মোচনকারী।পুরো শাবান মাসজুড়ে আল্লাহর বান্দাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুণ্য ও সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। আল্লাহর সন্তুষ্টিকামী মুমিনদের জন্য আবশ্যক হলো সমগ্র মাসকে তারই ইবাদতে মনোনিবেশ করা।নাজিমে দারুল ইকামাহ, জামিয়া কুরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়, কাজীপাড়া, ব্রাক্ষণবাড়িয়া।