
রোজা রেখে যারা রান্না করেন তাদের অনেক সময় রান্নার লবণ চেখে দেখার প্রয়োজন পড়ে। লবণ চেখে না দেখলে লবণ কম বা বেশি হয়ে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। ওই খাবার যারা খাবেন তাদের খেতে কষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।এ রকম অবস্থায় বাবুর্চি বা রাঁধুনীর জন্য খাবারের লবণ চেখে দেখা জায়েজ। খাবারের কিছু অংশ শুধু জিহ্বায় লাগিয়ে লবণ চেখে দেখলে রোজা ভেঙে যাবে না যদি তা পেটে চলে না যায়। লবণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে ওই খাবার ফেলে দিতে হবে। মুখের থুতু ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে কুলিও করে নিতে হবে।রমজানের রোজা রেখে লবণ দেখতে গিয়ে অসতর্কতাবশত খাবারের কোনো অংশ যদি পেটে চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এরপরও ইচ্ছাকৃত আরও খাবার খাওয়া যাবে না। ওই দিনের অবশিষ্ট সময় না খেয়ে থাকতে হবে এবং রমজানের পরে একটি রোজা কাজা আদায় করে নিতে হবে, কাফফারা লাগবে না।আর কেউ যদি লবণ দেখতে গিয়ে রোজার কথা মনে থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত কিছু খাবার খেয়ে ফেলে, তাহলে তার কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।রমজানের দিন রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত রোজা পানাহার বা যৌনমিলন করলে রোজা ভেঙে যায়, রোজাটির কাজা করতে হয়, কাফফারাও দিতে হয়। অর্থাৎ ওই রোজাটির পরিবর্তে আরেকটির রোজা রাখতে হয়।
আর ইচ্ছাকৃত রোজা ভেঙে ফেলার কাফফারা হলো, ১. একটি গোলাম আজাদ করা ২. অথবা ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করানো ৩. অথবা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখা। এই তিন পদ্ধতিতে কাফফারা আদায় করা যায়।