১. আল-কোরআন : পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘শপথ ঊষার, শপথ দশ রজনীর, শপথ জোড় ও বিজোড়ের।’ (সুরা : ফাজর, আয়াত : ১-৩)
জাহহাক (রহ.) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, আয়াতে বর্ণিত ‘দশ রজনী’ দ্বারা রমজানের শেষ দশক
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে শুরু হয়েছে ইতিকাফ। এ সময় সারা বিশ্বের সব মসজিদে অবস্থান করেন রোজাদার মুসলিমরা, বিশেষত সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ভিড় করে অনেকে। এ সময় পবিত্র মসজিদুল হারামে অবস্থান
ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ হলো, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে লিপ্ত হয় তাকে বলা হয় ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ’। অর্থাৎ ইতিকাফকারী। (লিসানুল আরব, খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা : ২৫৫)
শরিয়তের
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
উল্লিখিত
পবিত্র রমজান মাসে যে কোনো ইবাদতের সওয়াবই বহুগুণ বেড়ে যায়। রমজানের প্রত্যেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব ফরজ ইবাদতের সমান। প্রতিটি ফরজ ইবাদতের সওয়াব হয় সত্তরটি ফরজ ইবাদতের সমান। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পবিত্র রমজনের
কোনো মসজিদে এক বা একাধিক দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে সওয়াবের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। ইতেকাফ ইসলামে ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফকারী,
মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি দয়াশীল। রমজানে এই দয়ার পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। তিনি প্রতিটি আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করেন, বান্দার দোয়া কবুল করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। বিশেষত রমজানের ইফতারের সময়ে দোয়া কবুলের কথা হাদিসে এসেছে। এ