যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

যেমন ছিলেন দয়াল নবিজি (সা.)

দুনিয়ার সব ভালো গুণে গুণান্বিত ছিলেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে নবিজির গুণ বর্ণনা করে ঘোষণা করেন-

وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ

আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের উপর রয়েছেন। (সুরা কলম: আয়াত ৪)

তিনি ছিলেন সত্যবাদী। তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি। তাইতো আরবের জাহেল মানুষের মুখেও তার ভালো গুণ প্রকাশ পেয়েছিল। তারা তাকে ডাকতো ‘আল-আমিন’।

তিনি দীর্ঘ সময় নিরব থাকতেন। অযথা কথা বলতেন না।

তিনি সব সময় কম হাসতেন।

তিনি মুচকি হাসতেন; কখনো অট্টো হাসি দিতেন না।

তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। কখনো এ নামাজ ত্যাগ করেননি।

তিনি নিজের জন্য কখনো প্রতিশোধ করেননি। তায়েফের কঠিন নির্যাতনেও তিনি ধৈর্যশীল ছিলেন।

তিনি ইসলামের যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কখনও কাউকে আঘাত করেননি। কারণ তিনি ছিলেন দয়ালু।

তিনি বিপদে পড়লে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।

তিনি সবাইকে আগে সালাম দিতেন।

তিনি শিশুদের স্নেহ করতেন। ভালোবাসতেন।

তাঁর আচরণ ছিল কোমল। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন।

তিনি নিয়মিত সাপ্তাহিক ও মাসিক রোজা রাখতেন। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। আবার মাসিক আইয়ামে বিজের (প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখতেন।

ঘুম থেকে জেগে ওঠে মেসওয়াক করা ছিল তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। তিনি সর্বাধিক মেসওয়াক করতেন।

তিনি কখনো মিথ্যা বলতেন না। মিথ্যাকে সর্বাধিক ঘৃণা করতেন।

তিনি উপহার গ্রহণ করতেন।

তিনি অধিক দানশীল ছিলেন। তাঁর দানকে (সাদকাহ) ঝড়ের গতির সঙ্গে তুলনা করা হয়।

তিনি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। আল্লাহর জিকিরে মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়।

তিনি কখনো কোনো খাদ্যের দোষ ধরতেন না।

ক্ষমা ছিল নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম গুণ। তিনি অন্যদের ক্ষমা করে দেওয়া অধিক পছন্দ করতেন।

তিনি কাউকে অবহেলা করতেন না। এমনকি যারা তাঁর কাছে আসতো তাদেরও তিনি অবহেলা করতেন না।

কথা বলার সময় সুন্দর ও উত্তম কথা বলতেন। তাঁর কথা ছিল প্রাঞ্জল ও সুস্পষ্ট।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজির গুণে নিজেদের গুণান্বিত করা। নিজেদের সোনালী যুগের মানুষের মতো গড়ে তোলা। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমিন।