যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ইলমের ফযীলত

আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ বল,হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর।(ত্বা-হা ১১৪ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেন,
অর্থাৎ বল,যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান?(যুমার ৯ আয়াত)
আল্লাহ আরও বলেন
অর্থাৎ যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন।(মুজাদালা ১১ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
অর্থাৎ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাঁকে ভয় করে থাকে।(ফাত্বের ২৮ আয়াত)

১/১৩৮৪। মুআবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যার মঙ্গল চান,তাকেই দ্বীনী জ্ঞান দান করেন।(বুখারী)

২/১৩৮৫। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেবল দুজন ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র। সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং তাকে তা সৎপথে ব্যয় করার শক্তিও দিয়েছেন। আর সেই লোক যাকে আল্লাহ জ্ঞান-বুদ্ধি দান করেছেন,যার বদৌলতে সে বিচার-ফায়সালা করে থাকে ও তা অপরকে শিক্ষা দেয়।(বুখারী ও মুসলিম)
এখানে ঈর্ষা বলতে,অপরের ধন ও জ্ঞান দেখে মনে মনে তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা। সেই সাথে এই কামনা থাকে না যে,অপরের ধ্বংস হয়ে যাক।

৩/১৩৮৬। আবূ মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সরল পথ ও জ্ঞান দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে তা ঐ বৃষ্টি সদৃশ যা জমিনে পৌঁছে। অতঃপর তার উর্বর অংশ নিজের মধ্যে শোষণ করে। অতঃপর তা ঘাস এবং প্রচুর শাক-সবজি উৎপন্ন করে। এবং তার এক অংশ চাষের অযোগ্য (খাল জমি);যা পানি আটকে রাখে। ফলে আল্লাহ তা আলা তার দ্বারা মানুষকে উপকৃত করেন। সুতরাং তারা তা হতে পান করে এবং (পশুদেরকে) পান করায়,জমি সেচে ও ফসল ফলায়। তার আর এক অংশ শক্ত সমতল ভূমি;যা না পানি শোষণ করে,না ঘাস উৎপন্ন করে। এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির যে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে জ্ঞানার্জন করল এবং আমি যে হিদায়েত ও জ্ঞান দিয়ে প্রেরিত হয়েছি,তার দ্বারা আল্লাহ তাকে উপকৃত করলেন। সুতরাং সে (নিজেও) শিক্ষা করল এবং (অপরকেও) শিক্ষা দিল। আর এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তিরও যে এ ব্যাপারে মাথাও উঠাল না এবং আল্লাহর সেই হিদায়েতও গ্রহণ করল না,যা দিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি।(বুখারী ও মুসলিম)

৪/১৩৮৭। সাহাল ইবনে সায়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম(খায়বার যুদ্ধের সময়) আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে সম্বোধন করে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমার দ্বারা একটি মানুষকেও যদি আল্লাহ সৎপথ দেখান,তবে তা (আরবের মহামূল্যবান) লাল উঁটনী অপেক্ষা উত্তম হবে।(বুখারী-মুসলিম)

৫/১৩৮৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও,যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইসরাইল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর,তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত-ভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদিস) আরোপ করল,সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিলো।(বুখারী)
** (প্রকাশ থাকে যে,বনী-ইসরাইল হতে কেবল ইসলাম সমর্থিত হাদিস বর্ণনা করতে পারা যায়। ব্যাপকভাবে তাদের সব রকম হাদিস গ্রহণ করা সমীচীন নয়। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামে মিথ্যা আরোপ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ফলে হাদিস অতি সতর্কভাবে বর্ণনা করা আবশ্যক এবং জাল ও দুর্বল হাদিস থেকে বিরত থাকা নৈতিক কর্তব্য। সহীহ-দ্বঈফ হাদিসের গ্রন্থ ও কম্পিউটার পোগ্রাম বর্তমানে প্রায় সর্বত্র সুলভ। সুতরাং হাদিস সম্বন্ধেও যাচাই-বাছাই করা মুসলিমদের একটি দ্বীনী কর্তব্য।)

৬/১৩৮৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি এমন পথে গমন করে