আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আমর রা: থেকে বর্ণিত, নবী সা: বলেন : চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোনো একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি
সন্তান আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। দুনিয়ার জীবনে সন্তান যেমন চোখের শীতলতা ও দুর্বলতায়, বার্ধক্যে ভরসা হয়, সন্তানকে নেক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সে দুনিয়া ও আখেরাতে সওয়াবের কারণ হয়। মৃত্যুর পরও নেক সন্তানের কারণে
মৃত্যু অমোঘ বাস্তবতা। এই ক্ষণস্থায়ী জীবন শেষ করে আমাদের সবাইকেই একদিন মৃত্যুর কাছে ধরা দিতে হবে। এই দুনিয়ার সফর শেষ করে পাড়ি জমাতে হবে পরপারে এবং মহান রাব্বুল আলামিনের সামনে নিজের কৃতকর্ম নিয়ে দাঁড়াতে হবে।
মানুষের জীবনে অনেক সময় দুঃখ-দুর্দশা নেমে আসে। তখন অস্থির হয়ে পড়ে সবার অন্তর। এমন বিপদঘন মুহূর্তে মহানবী (সা.)-এর একটি দোয়া বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো-
«لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ
মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে দুনিয়ার আকর্ষণ কমে যায়। আখেরাতের স্মরণ অন্তরে জাগরুক হয়। নেক আমলে আগ্রহ বাড়ে। তাই কোরআনে বারবার মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষ কিছুতেই মৃত্যু থেকে
তখন যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। -সূরা আল হাক্কাহ : ১৯-২০
মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদ সা:-কে জন্মগতভাবেই শিক্ষকসুলভ আচরণ দান করেছিলেন। তাঁর অনুপম শিক্ষানীতি ও পদ্ধতিতে মুগ্ধ ছিলেন সাহাবিরা। হজরত মুয়াবিয়া রা: বলেন, ‘তাঁর জন্য আমার বাবা ও মা উৎসর্গিত হোক। আমি তাঁর
শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের একটি কর্তব্য হল তার সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, বাবার ওপর সন্তানের অধিকার হচ্ছে, সে তার উত্তম নাম রাখবে, তাকে ভালো স্থানে রাখবে এবং তাকে উত্তম আদব