কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

তাওয়াফের সময় হজ ও উমরাকারীদের কতিপয় ত্রুটি

কা‘বা শরীফের তাওয়াফের সময় কতিপয় হজ ও উমরাকারীদের অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের ভুল ত্রুটিতে আপনি যাতে লিপ্ত না হন সে জন্য তেমনি কিছু ভুলের ব্যাপারে আমরা আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি।

-          কতিপয় তাওয়াফকারী কাবার সকল রুকন ( কর্ণার ) এবং হয়ত বা সকল দেয়াল স্পর্শ করে থাকে। তারা মাকামে ইবরাহীম সহ এগুলোকে মাসেহ করে থাকে। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ছাড়া কা‘বার অন্য কোন অংশ স্পর্শ করেন নি।

-          কিছু লোক তাওয়াফের সময় আওয়াজ উচ্চ করে। এতে বাকী তাওয়াফকারীদের অসুবিধা হয়। অনুরূপভাবে হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন করার জন্য এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায়ের জন্য অনেকে প্রচন্ড ভীড় সৃষ্টি করে। এতে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ ঘটে। অনেক সময় গালাগালি ও হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যায়। এমনটি করা জায়েয নেই; কেননা এতে নারী-পুরুষের ফেতনা সৃষ্টি হয় এবং মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। তদুপরি অন্যায়ভাবে কোন মুসলিম তার ভাইকে গালি দেয়া, মারধোর করা কখনোই জায়েয নয়।

মূলত: যে ব্যক্তি আপনার ব্যাপারে ত্রুটি করেছে অথবা আপনার প্রতি দুর্ব্যবহার করেছে তার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শনই হওয়া উচিত এ স্থানে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

-          তাওয়াফকারীদের কেউ কেউ তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করের জন্য বিশেষ দো‘আ নির্ধারণ করে থাকে, যা তারা এ ব্যাপারে প্রণীত গ্রন্থাবলী থেকে পাঠ করে থাকে। এটা নতুন উদ্ভাবিত সে বেদআ’ত সমূহেরই অন্তর্গত দ্বীনের মধ্যে যার কোন ভিত্তি নেই। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তাওয়াফের মধ্যে হাজারে আসাওয়াদের কাছে এসে তাকবীর পড়া ছাড়া অন্য কোন যিকর বা দো‘আ সাব্যস্ত হয়নি। আর প্রত্যেক চক্করের শেষে হাজারে আসাওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মধ্যবর্তী স্থানে তিনি বলতেন :

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [البقرة: ٢٠١]

“হে আমাদের রব! আপনি দুনিয়ায় আমাদেরকে কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।’’ [সুরা আল বাক্বারা: ২০১]

সুতরাং প্রথম চক্করের জন্য, দ্বিতীয় চক্করের জন্য, .....  এমনি করে সপ্তম চক্কর পর্যন্ত কোন চক্করের জন্যই বিশেষ কোন দো‘আ পাঠে নিজেকে বাধ্য না করা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণেরই অন্তর্গত। এ বইয়ের শেষে একগুচ্ছ নির্বাচিত দো‘আ সংযোজন করা হয়েছে যেগুলো কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত হয়েছে। আপনি সেগুলো পড়ে আল্লাহর কাছে দো‘আ করুন। আল্লাহ চাহেত এ গুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।