আরাফার দিন কতিপয় হাজীদের পক্ষ থেকে কিছু ভুল সংঘটিত হয়ে থাকে। এ ধরনের কিছু ভুল আমরা আপনার সামনে তুলে ধরছি যেন আপনি তা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।
১. কতিপয় হাজী সাহেব ‘আরাফার সীমানার বাইরে অবস্থান করেন। অথচ স্পষ্ট চিহ্ন দ্বারা এর সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে সচেতন করা ও দিক-নির্দেশনা দেয়ার ব্যাপারে বহু চেষ্টা- সাধনা করা হয়। কিন্তু তাদের তাড়াহুড়োর কারণে এবং আগেভাগে ‘আরাফা থেকে বের হয়ে যেতে চাওয়ার কারণে এ মহান রুকনটি পালনে তারা ব্যর্থ হয়। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘হজ হল ‘আরাফায় অবস্থান।’’
২. কোন কোন হাজী পাহাড়ে উঠার জন্য কষ্ট করে এবং পাহাড় ও পাহাড়ের পাথর সমূহ মাসেহ করে থাকে। তাদের বিশ্বাস হল - এ পাহাড়ের এমন বৈশিষ্ট্য ও ফযীলত রয়েছে যার ফলে সে কাজ করা ওয়াজিব। অথচ এটা এমনই এক বেদ‘আত যা পরিহার করা উচিত। ওয়াজিব তো হল – ‘আরাফার সীমানার ভেতরে যে কোন স্থানে হাজীদের অবস্থান করা।
৩. বহু হাজী ‘আরাফার দিন হাসি, ঠাট্টা ও অনর্থক বাক্যালাপে ব্যতিব্যস্ত থাকে এবং এ মহান স্থানে যিকর, দো‘আ ও ইস্তেগফার করা ছেড়ে দেয়।
৪. অনেক হাজী দো‘আর সময় ক্বেবলাকে পেছনে, ডানে কিংবা বাঁয়ে রেখে পাহাড়ের দিকে মুখ ফিরায়। অথচ সুন্নাত হলো পাহাড়কে আপনার ও ক্বেবলার মাঝখানে রাখা যদি তা সম্ভব হয়। আর যদি তা সম্ভব না হয় - অত্যাধিক ভীড়ের কারণে এ দিনগুলোতে সচরাচর এমনই হয় - তাহলে সুন্নাত হলো দো‘আর সময় আপনার সামনে পাহাড় না থাকলেও ক্বেবলামুখী হওয়া।
৫. সূর্যাস্তের পূর্বেই কোন কোন হাজী ‘আরাফা থেকে চলে যায়। এমনটি জায়েয নেই। হাজীদের উচিত হল যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য অস্ত না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ‘আরাফা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করত: বের না হওয়া, যিনি হজের কাজ পালনকালে বলেছিলেন :
«خُذُوا عَنِّى مَنَاسِكَكُم»
“আমার কাছ থেকে তোমরা হজের বিধান গ্রহণ কর”।
৬. কোন কোন হাজী ‘আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন কালে তাড়াহুড়ো করে এবং তালবিয়া পাঠ থেকে বিরত থাকে। তার সমস্ত আগ্রহ হল - কত দ্রুত মুযদালিফায় পৌঁছতে পারবে। অথচ উত্তম হল-হাজী সাহেব ধীর -স্থির ও শান্তভাবে পথ চলবেন। তাড়াতাড়ি করার স্থানে তাড়াতাড়ি করবেন এবং ভীড়ের স্থানে শান্ত ভাবে এগুবেন। প্রত্যেকটি স্থানে তার শ্লোগান হবে তালবিয়া।