৯ জিলহজ মিনা থেকে আরাফা প্রাঙ্গণে একত্র হবেন সারা বিশ্বের হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে একজন ইমাম খুতবা পাঠ করেন। এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সায়িদ। এ সময় তাঁর সহকারী হিসেবে থাকবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহির বিন হামাদ আল-মুয়াইকালি। গত ১৯ জুন সৌদির বার্তা সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
শায়খ ড. ইউসুফ সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালে তিনি সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৭ সালে তিনি ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে তিনি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাইবার সিকিউরিটি কমিটি, কোরআন প্রতিযোগিতা বিষয়ক কমিটি, হজ কমিটি, কিং ফাহাদ কমপ্লেক্সের কোরআন অনুবাদ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
শায়খ ড. ইউসুফ অল্প বয়সেই পবিত্র কোরআন হিফজ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে মুতুন মুখস্থ করেন। তিনি ১৪১১ হিজরিতে ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। শায়খ আবদুল আজিজ আলে শেখ, শায়খ সালিহ আল-আতরাম, শায়খ সালেহ আলে শেখ, শায়খ আলি আল-হিন্দিসহ সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমদের কাছে পড়াশোনা করেন তিনি।
শায়খ ড. মাহির বিন হামাদ আল-মুয়াইকালি ১৯৬৯ সালে মদিনার আল-ওয়াজাহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অত্যন্ত ধার্মিক নারী। মদিনার টিসার্চ কলেজে পড়াশোনা সম্পন্ন করে তিনি বালাত আশ-শুহাদা স্কুলের গণিত শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ২০০৪ সালে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকাহ বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ২০১২ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি জুডিশিয়াল স্টাডিজের শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে মসজিদে নববীতে তিনি তারাবির নামাজের ইমাম ছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
উল্লেখ্য, গত ৪৪ বছর ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি আরাফার খুতবা প্রদান করেছেন। ১৪০২ হিজরি থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর্যন্ত খুতবা দিয়েছেন শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শেখ। ১৪৩৬ হিজরি থেকে খুতবা দিয়েছেন যথাক্রমে ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস, ড. সাআদ বিন নাসির আল-শাসরি, হুসাইন বিন আবদুল আজিজ আলে শেখ, মুহাম্মদ বিন হাসান আলে শেখ, আবদুল্লাহ বিন সুলাইমান আল-মানি, ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলাহ ও ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল-ঈসা।
সূত্র : আরব নিউজ