এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদজুলুমকারীদের জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছেকোরআন ও হাদিসে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারযে পদ্ধতিতে হজ করা উত্তম২১৫ বছর আগের মসজিদ রংপুরের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম
No icon

রোজা অবস্থায় বমি করলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

প্রশ্ন :রোজা অবস্থায় বমি করলে বা অজ্ঞান ও বেহুশ হয়ে পড়লে কি রোজা ভেঙে যাবে?
উত্তর :রোজা অবস্থায় বমি হলে রোজা ভাঙবে কি-না, এ নিয়ে অনেকেই আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে থাকি। এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, বমির পরিমাণ বেশি হোক বা কম, সেটা খাদ্য বমি হোক বা রক্ত বমি, মনে রাখতে হবে রোজা হলো পানাহার না করার নাম। বমি হলে তো পানাহার করা হয় না; বরং তার বিপরীত হয়। তাই রোজা অবস্থায় বমি হলে রোজা ভাঙ্গবে না।

তবে বমি হওয়ার পর রোজা পালনে সক্ষম হলে তা পূর্ণ করবে; অক্ষম হলে রোজা ছেড়েও দিতে পারবে। এ রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা প্রয়োজন হবে না। বমি মুখে আসার পর তা গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে। ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবে। এমতাস্থায় কাজা ও কাফফারা উভয়টাই আদায় করতে হবে।অনুরূপভাবে কোনো কারণে অজ্ঞান হলে (যাতে সাধারণত রোজার বিপরীত কিছু ঘটে না), রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণে প্রয়োজনে পানাহার বা ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙ্গলে পরে কাজা আদায় করে নিতে হবে।উল্লেখ্য, অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়া ও অজ্ঞান হওয়া অজু ভঙ্গের কারণ; রোজা ভঙ্গের কারণ নয়।