কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

কেমন স্ত্রী থেকে নবীজি আল্লাহর আশ্রয় চেয়েছেন

মানুষ সৃষ্টিগতভাবে সম্মানিত। কিন্তু ব্যক্তিগত স্বভাব-চরিত্রের কারণে কেউ নন্দিত হয়, কেউ নিন্দিত হয়। আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, কন্যারাও তাদের কিছু অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্যের কারণে সমাজে নিগৃহীত ও নিন্দিত হয়। পরিবার ও সমাজে তাদের নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা বিবাদ-বিসংবাদ, ঘটে যায় বহু বিপর্যয় ও অপ্রীতিকর ঘটনা।

সেসব নিন্দিত নারী থেকে রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এভাবে : ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি মন্দ প্রতিবেশী থেকে; এমন স্ত্রী থেকে, যে বার্ধক্য আসার আগেই আমাকে বৃদ্ধ করে দেয়; এমন পুত্র সন্তান থেকে, যে আমার মনিবস্বরূপ হয়ে যায়; এমন সম্পদ থেকে, যা আমার আজাবের কারণ হয় এবং এমন ধোঁকাবাজ বন্ধু থেকে, যার চোখ আমাকে দেখে আর তার অন্তর আমাকে পর্যবেক্ষণ করে। যদি সে ভালো কিছু দেখে, তাহলে তা গোপন করে। আর মন্দ কিছু দেখলে তা প্রচার করে।’ (তাবারানি, সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস : ৩১৩৭)

অনেক নারী স্বামীর অপছন্দনীয় কাজগুলো বেশি বেশি করে স্বামীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বা তাকে রাগান্বিত করার জন্য। স্বামী তার প্রয়োজনীয় সব কিছু যথাযথভাবে প্রদান করলেও সে যেন খুশি থেকে চায় না। কোনো কিছুর বিনিময়ে ওই সব নারী তাদের বদ-অভ্যাস ত্যাগ করে না; বরং স্বামীকে রাগানো ও তাকে কষ্ট দেওয়াই যেন তার  মূল কাজ।

এসব নারী সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির সালাত তাদের কান অতিক্রম করে না।

১. পলায়নকারী গোলাম যতক্ষণ সে ফিরে না আসে।

২. এমন নারী, যে রাত যাপন করে অথচ তার স্বামী তার ওপর রাগান্বিত থাকে।

৩. ওই ইমাম, জনগণ যাকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬০)