যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপায়। জটিল-কঠিন মহামারি ও রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থ থাকার জন্য রোগের ধরণ অনুযায়ী টিকা-ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। সুস্থতার জন্য এসব টিকা গ্রহণে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

টিকা বা ভ্যাকসিন গ্রহণ মুলত সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসা গ্রহণের উপায়। রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থ থাকতে ইসলামে চিকিৎসা গ্রহণ ও ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকনির্দেশনা থেকেই তা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
মৃত্যু ছাড়া এমন কোনো রোগ নেই; যার চিকিৎসা নেই।দুনিয়াতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যু সুনিশ্চিত। তবে কার মৃত্যু কখন হবে এটা নিশ্চিত করে কেউ জানে না। তাই হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত্যুর আগে সুস্থতার জন্য চিকিৎসা গ্রহণে ইসলামে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা বাধা নেই।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ হলে নিজে চিকিৎসা নিতেন এবং অন্যদেরকেও চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করতেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে প্রমাণিত।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাথা ব্যথা হয়েছিল। তিনি আবু তাইয়্যেবা নামে একজনকে ডেকে নিজের মাথা হিজামা করিয়েছিলেন। হিজামার বিনিময়ে তিনি তাকে দিনার অথবা খাদ্য সামগ্রী দিয়েছিলেন। ২. কায়ী বা থেরাপি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে কায়ী করার বর্ণনা পাওয়া যায়। কায়ী বলা হয় লোহা জাতীয় বস্তু গরম করে ব্যথার জায়গায় সেক দেওয়া। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে থেরাপি বলা হয়।
থেরাপির মাধ্যমে মানুষ অনেক ব্যাধি থেকে আরাম লাভ করে থাকে। থেরাপির মাধ্যমে নিজেও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

৩. লুদুদ বা দপ দেওয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জ্বর থকে সুস্থ থাকার জন্য লুদুদ বা নামে দপ নিয়েছিলেন। একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জ্বর থেকে সুস্থতায় তিনি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের বলেছিলেন তাকে লুদুদ করাতে। লুদুদ বলা হয় নাকে দপ দেওয়া।