অজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
No icon

নবম শতাব্দীর বিশ্বখ্যাত একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আল-ফারগানি

আবু আল আব্বাস আহমাদ ইবনে মোহাম্মাদ ইবন কাসির আল-ফারগানি। অনেকে তার নাম ফারঘানি বলে থাকে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বে আলফ্রাগানুস নামে পরিচিত। তিনি কোথাকার মানুষ ছিলেন সেই সম্পর্কে পরিস্কারভাবে কিছু জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয় তিনি জন্মগতভাবে পারস্যের (বর্তমান ইরান) অধিবাসী ছিলেন। কাজের সুবিধার জন্য তৎকালীন জ্ঞান বিজ্ঞানের পীঠস্থান আরবে চলে আসেন। তিনি একজন সুন্নি মুসলিম জ্যোতির্বিদ ছিলেন।

আল-ফারগানি ছিলেন নবম শতাব্দীর বিশ্বখ্যাত একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি পারস্যে ৮০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আরব দেশে সম্ভবত মিশরে ৮৭০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বাগদাদে ৭ম আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন (৭৮৬-৮৩৩) এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়ের কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের একজন সদস্য ছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে আল-ফারগানি মিশরের কায়রো'য় চলে যান। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পুরোনো কায়রোয় (মিশর) গ্রেট নাইলোমিটারের নির্মাণ কাজে আল-ফারগানি তত্ত্বাবধান করেন। নাইলোমিটার হচ্ছে নদীর পানির গভীরতা পরিমাপের একটি যন্ত্র। যা নদীর পানির গভীরতা পরিমাপের ক্ষেত্রে স্নাতক কলাম সহ একটি চেম্বার হিসাবে ব্যবহৃত হত। ফলে পানির স্তর কতদূর পৌঁছেছে জানা যেত, ফলে কখন বন্যা হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া হত।

আল-ফারগানি রচিত 'কিতাব ফি জাওয়ামি' 'ইলম আল নুজুম' এ সৌরপ্রণালীর অন্তর্গত গ্রহগুলোর গতিবিধি, নীহারিকাপুঞ্জ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যা "নক্ষত্র বিজ্ঞানের সারসংক্ষেপ" হিসেবে অধিক পরিচিত। ১২ শতকে এই বইটি ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। অতি অল্প সময়ে ইউরোপে এটি প্রচুর জনপ্রিয়তাও লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে আল-ফারগানি'র নামে চাঁদের আগ্নেয়গিরি'র জ্বালামুখ আলফ্রাগানুস এর নামকরণ করা হয়েছে।