যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

অপরাধ দমনে ওমর (রা.)রপদক্ষেপ

শান্তির সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে ইসলামের অবস্থান কঠোরতম : ‘আল্লাহর বিধান কার্যকরকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২)

খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামলে হত্যাকাণ্ডের অপরাধে বেদুইন যুবকের মৃত্যুদণ্ড হয়। যুবক জামিন প্রার্থনা করে। জামিনদার হলেন সাহাবি আবুজর গিফারি (রা.)। শর্ত হলো, যুবক না ফিরলে মৃত্যুদণ্ড হবে সাহাবির! ঘটনাক্রমে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা। মদিনায় থমথমে অবস্থা। নিষ্পাপ সাহাবি বিনা দোষে দণ্ডিত হবেন! জল্লাদ প্রস্তুত!

যুবকের ফিরে আসা দেখে সবাই হতবাক! খলিফা বলেন, ‘তুমি জানো তোমার মৃত্যুদণ্ড; তার পরও ফিরে এলে?’ যুবক বলল, ‘আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলমান সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই বিপদে পড়ল...!’

এটাই ইসলামের শাশ্বত সাধুতা। বর্তমানকালে অপরাধী অনুতপ্ত হয় না। ধরা দেয় না স্বেচ্ছায়, বরং ছলচাতুরী করে। অথচ দুর্নীতির ছদ্মাবরণে সম্পদের পাহাড় গড়াদের জীবন গড়ায় সরকারি মেহমানদারির জেলখানায়! পাপ-পতনের মাধ্যম দুর্নীতি জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। এতে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা লঙ্ঘিত হয়—‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২০)

দুর্নীতিবাজরা বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধরে।