কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

নারী-পুরুষের নামাজের ৩ পার্থক্য

নারী-পুরুষের নামাজ আদায়ের ধরনে পার্থক্য আছে কি না এ নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে দুরকম মতামত রয়েছে। অনেক আলেমদের মতে নারী পুরুষের নামাজে কোনো পার্থক্য নেই। যেহেতু নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সব উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন তার মতো করে নামাজ পড়তে।

কিন্তু বেশিরভাগ আলেমদের মত হলো নারী-পুরুষের নামাজের ধরনে কিছু পার্থক্য রয়েছে। রাসুল (সা.) সব ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য অনুসরণীয় হলেও নারী-পুরুষের শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যগত পার্থ্যকের কারণে ইবাদতের ধরনে অনেক ক্ষেত্রেই পার্থক্য হয়। যেমন নামাজ ও হজের সময় নারী ও পুরুষদের পোশাক আলাদা হয়, জুমা ও নামাজের জামাত পুরুষদের ওপর ওয়াজিব হলেও নারীদের ওপর ওয়াজিব নয়, আজান ও ইমামতির মতো কাজগুলো পুরুষরাই করে থাকেন ইত্যাদি।

নারী ও পুরুষদের নামাজ আদায়ের ধরনে ৩টি পার্থক্য রয়েছে:

১. তাকবিরে তাহরিমা অর্থাৎ নামাজের শুরুর তাকবিরের সময় নারীরা হাত ওঠাবে বুক বরাবর। বিপরীতে পুরুষরা হাত ওঠাবে কান পর্যন্ত।

২. সেজদার সময় নারীরা এক অঙ্গের সঙ্গে অপর অঙ্গ মিলিয়ে কোমর নিচু করে জড়সড় হয়ে থাকবে। বিপরীতে পুরুষরা কোমর উঁচু করে রাখবে, পেট থেকে রান আলাদা রাখবে।

৩. নামাজে বসার সময় নারীরা উভয় পা ডান দিকে বের করে দিয়ে সরাসরি মাটির ওপর বসবে, বিপরীতে পুরুষরা বাম পা নিচে রেখে তার ওপর বসবে. ডান পা দাঁড় করিয়ে রাখবে।