যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহে করণীয়

নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় মন এলোমেলো হয়ে যায়। মনোযোগ সরে যায় রাকাত সংখ্যা থেকে। সন্দেহ তৈরি হয় এখন যে রাকাতে আছি তা ‍দ্বিতীয়, তৃতীয় নাকি শেষ রাকাত। কারো কারো ক্ষেত্রে এমনটি প্রায় হয়ে থাকে, কারো আবার হঠাৎ কখনো এমন হয়। 

নামাজ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ তাই এ পরিস্থিতিতে সঠিক সমাধান জানা না থাকলে এক ধরণের অস্বস্তি তৈরি হয়। এছাড়া ফরজ এই ইবাদত নিখুঁত হওয়াটাও আবশ্যকীয়। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা থেকে উত্তরণের সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরি।

প্রায় সময় সন্দেহ হলে

এ বিষয়ে ইসলামী সমাধান হলো, যে ব্যক্তির এমন সন্দেহ প্রায় সময় হয়ে থাকে তার জন্য করণীয় হলো- 

সে প্রথমে চিন্তা-ভাবনা করবে। এতে তার মন যে রাকাতের ওপর স্থির হবে এবং প্রবল ধারণা হবে, সেই ধারণার ওপর আমল করবে। অর্থাৎ যদি কারো সন্দেহ হয় যে সে তৃতীয় রাকাত পড়ছে নাকি চতুর্থ রাকাত, এক্ষেত্রে তার প্রবল ধারণা হলো যে সে চতুর্থ রাকাতে রয়েছে তাহলে চার রাকাত ধরেই নামাজ শেষ করবে। এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহুর প্রয়োজন হবে না।

আর যদি নামাজের কোনো রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা না হয়, তাহলে কম সংখ্যা ধরে সে হিসেবে বাকি নামাজ পূর্ণ করবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতের পর বৈঠক করে তাশাহহুদ পড়তে হবে। আর শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা আদায় করতে হবে। - আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩-৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩০; কিতাবুল আছল ১/১৯৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১১১

মাঝে মধ্যে সন্দেহ হলে

আবার কারো যদি নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে কখনো কখনো সন্দেহ হয় (নিয়মিত নয়)। তাহলে সে উপরের নিয়মে নামাজ পড়লে হবে না, বরং তাকে নতুনভাবে পুরো নামাজ পড়তে হবে।

জীবনে প্রথমবার সন্দেহ হলে

আর কারও যদি নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে এই সন্দেহ জীবনে প্রথমবারের মতো হয়, তাহলে তার শুরু করা ওই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এবং তার জন্য আবার নতুন করে পুরো নামাজ পড়া আবশ্যক। (ইবনে আবি শায়বা : ২/২৮)

নামাজের রাকাত সংখ্যার সন্দেহ নিয়ে তিরমিজি শরিফে হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

‘তোমাদের কারো যদি নামাজের মধ্যে সন্দেহ হয় ফলে সে জানে না যে এক রাকাত পড়ল না কি দুই রাকাত। তাহলে সে যেন এক রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে। আর যদি দুই রাকাত পড়ল না তিন রাকাত, তা না জানে তাহলে যেন দুই রাকাত ধরে নামাজ পড়ে এবং (এসব ক্ষেত্রে) সালাম ফেরানোর আগে দুটি সিজদা আদায় করে।’ (অর্থাৎ সাহু সিজদা করে) -জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৯৮