নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা আকাশ পৃথিবী বাতাস পর্বত এবং সমুদ্র জুমার দিনকে ভয় করে।’ কারণ এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল বিশেষ ৩টি ঘটনা। আছে বিশেষ একটি মুহূর্ত আরও একটি বিশেষ ঘটনা ঘটবে। যে কারণে কল্যাণের সব চাওয়া-পাওয়ার আবেদন ও ইবাদতের জন্য জুমার দিনের বিকল্প নেই।
নবিজীর বর্ণনায় জুমার দিন যে ঘটনাগুলো ঘটেছে আর যা ঘটবে এবং যে বিশেষ মুহূর্তটি আছে; এর জন্যই জুমার দিন ইবাদত-বন্দেগি করা জরুরি। জুমার দিনের এই বিশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ব্য সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে পাকে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন সকল দিনের সর্দার আর আল্লাহর কাছে সবার চেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিনটি আল্লাহর কাছে আজহা ও ফিতরের দিন থেকেও শ্রেষ্ঠ। এই দিনের রয়েছে ৫টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য-
১. আল্লাহ এই দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন।
২. আদম আলাইহিস সালাম এই দিনে পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন।
৩. হজরত আদম আলাইহিস সালাম এই দিনেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
৪. এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যদি কোনো মুসলিম বান্দা সে মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কোনো কিছু বৈধ জিনিস প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দিয়ে থাকেন।
৫. এই দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে।
আর প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত এবং সমুদ্র এই দিনকে ভয় করে। (মুসনাদে আহমাদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার দিন যেহেতু একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে; যখন যা চাইলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দিয়ে থাকেন; তাই আল্লাহকে বেশি বেশি ভয় করে তার কাছে কল্যাণ কামনা করা। ইবাদত-বন্দেগি করা। দোয়া কবুলের জন্য এই ভয় খুবই কার্যকরী।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মর্যাদার এই দিনে আল্লাহকে বেশি বেশি ভয় করার মাধ্যমে তার ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।