এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদজুলুমকারীদের জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছেকোরআন ও হাদিসে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারযে পদ্ধতিতে হজ করা উত্তম২১৫ বছর আগের মসজিদ রংপুরের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম
No icon

সফরে থাকা অবস্থায় নামাযের নিয়ম

সফরের সময় ৪ রাকাত ফরয (যোহর+আসর+ইশা) নামায ২ রাকাত পড়তে হয়, কিন্তু ২/৩ রাকাত ফরয নামায ২/৩ রাকাতই পড়তে হয়। একে নামায “কসর” বা সংক্ষিপ্ত করা বলা হয়। 

আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফরে থাকা অবস্থায় ৫ ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত নামাযগুলো পড়তেন না, ফযরের ২ রাকাত সুন্নত আর বিতির নামায ছাড়া। তাই আমাদেরও উচিত হবেনা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যা করেন নি সেটা করা। 

আর সফরে থাকা অবস্থায় তাড়া থাকলে বা অসুবিধা থাকলে যোহর+আসর এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে এক সাথে পড়া যায়। অর্থাৎ যুহরের ওয়াক্ত হলে যুহর পড়ে আসর নামাযকে এগিয়ে নিয়ে এসে যুহর ও আসর এক সাথে পড়া যায় অথবা, আসরের ওয়াক্তে যুহরকে পিছিয়ে দিয়ে যুহর ও আসর একসাথে পড়া যায়। অনুরূপ করা যায়, মাগরিব ও ইশা এই দুই ওয়াক্তের নামায যে কোনো এক ওয়াক্তে একসাথে পড়া যায়। একে নামায “জমা করা” বলে। 

উল্লেখ্য, নামায এক সাথে পড়ার যে নিয়ম বর্ণনা করা হলো এর বাইরে করা যাবেনা, যেমন ফযর+যোহর অথবা আসর+মাগরিব এক সাথে করা যাবেনা। 

এছাড়া কেউ ইচ্ছা করলে নফল নামায পড়তে পারবেন, তবে সুন্নত নামাযের নিয়তে না। বা এটা মনে করা যাবেনা যে নামায কম পড়ছি বাঁ সুন্নত নামায পড়ছিনা তাই নফল পড়ে পূরণ করে দেই। কারণ, এই নামাযের নিয়ম আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার, তাই বাড়িতে থাকতে যে যত রাকাত নামায পড়ে অভ্যস্ত আল্লাহ তার সমপরিমান নামাযের সওয়াবই দিবেন - সুবহা'নাল্লাহ! 

সুরা নিসাঃ ১০১, বুখারী ও মুসলিম - মিশকাতঃ ১৩৩৬।