রমজান মাস শেষ হলো। শুরু হলো ঈদের মাস শাওয়াল। রমজান মাস রোজাদারের আমল অনুযায়ী পক্ষে কিংবা বিপক্ষে সাক্ষী হয়ে থাকবে। রমজানে যারা ভালো আমল করতে পেরেছে, সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। ও শুভ পরিণামের
রহমত বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের একমাস রোজা পালন শেষে আল্লাহ তাআলা তাঁর পক্ষ থেকে মুমিনদের যে দিনের দাওয়াত দেন, সেই দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এইদিন রোজা রাখা হারাম। আল্লাহ এই দিন প্রত্যেক মুমিন মুসলমানকে দাওয়াত
কে আমলের দিক থেকে উত্তম তা পরীক্ষার ঘোষণা দিয়ে সুরা মুলক পড়ার মাধ্যমে শুরু হবে ১৪৪৪ হিজরির ২৬তম তারাবিহ। আজকের তারাবিহতে সুরা মুলক, সুরা আল-ক্বালাম, সুরা আল-হাক্কাহ, সুরা আল-মাআ রিজ, সুরা নূহ, সুরা জিন, সুরা
দিবস-রজনী, মাস-বছর সবই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তারপরও এসবের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। বিশেষ করে লাইলাতুল কদর অনন্য ও অনুপম মর্যাদার অধিকারী। এ রাত প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পৃথক একটি সূরা নাজিল করেন। অবশ্যই আমি একে
মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রুপা, সেরা ঘোড়া, গবাদিপশু ও কৃষিক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহর কাছে। -সূরা আলে ইমরান,
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায় অর্থসম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষত্রুটি মাফ করে দেয়; এ ধরনের সৎ লোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন। -সূরা আলে ইমরান, আয়াত-১৩৪
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়াত ও সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং, তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে এবং আল্লাহকে
অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে তাদেরকে যারা মানুষের ওপর জুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায় বাড়াবাড়ি করে। এসব লোকের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। তবে যে সবর করে এবং ক্ষমা করে দেয় তার সে কাজ মহোত্তম সঙ্কল্পোদীপ্ত কাজের