আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন একটি জনপদের, যেটি ছিল নিরাপদ, নিশ্চিন্ত। সেখানে আসত সব দিক থেকে প্রচুর জীবনোপকরণ। তারপর সেই জনপদ আল্লাহর প্রতি কুফুরি করল, ফলে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আল্লাহ তাদের আস্বাদন করান ক্ষুধা ও ভয়ের পোশাক।
স্মরণ করো, সে দিন প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে আসবে এবং প্রত্যেককেই তার কর্মের প্রতিফল দেয়া হবে ও তাদের প্রতি কোনো প্রকার জুলুম করা হবে না। -সূরা আন নাহল, আয়াত-১১১
তুমি যখন কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে নেবে। যারা ঈমান আনে এবং তাদের প্রভুর ওপর তাওয়াক্কুল করে তাদের ওপর তার (শয়তানের) কোনো কর্তৃত্ব নেই। সে তো কর্তৃত্ব খাটায় কেবল তাদের
মহান আল্লাহ ঈমানদারদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রেখেছেন। তাদের জন্য রয়েছে সঠিক পথপ্রাপ্ত হওয়ার ঘোষণা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানে কোনো ত্রুটি মিশ্রিত করেনি, তাদেরই জন্য আছে নিরাপত্তা আর তারাই সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা আনআম,
যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলে- ‘ব্যবসায় তো সুদেরই মতো’। অথচ আল্লাহ ব্যবসায়কে
অসংখ্য পরীক্ষার সমষ্টি দুনিয়ার এই জীবন। পালাবদল করে পরীক্ষা আসতে থাকে। আর আল্লাহ যদি মুমিনের অন্তরকে সুদৃঢ় না রাখতেন, তা হলে তাদের ভেতরটা কষ্টে, আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে যেতো। মুমিন মুসলমান নিজেরাই এ মর্মে অবাক হয়ে যেতো!
আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়া প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী ওয়াজিব। কারণ মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
'তোমাদের মাঝে এমন একটি দল হওয়া উচিত। যারা কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, আর ন্যায়ের আদেশ এবং অন্যায় থেকে নিষেধ করবে।'
আল্লাহ্র দিকে দাওয়াত দেওয়া সর্বাধিক মহান, নৈকট্য অর্জনকারী বিষয়। এজন্যই এই কাজটি সম্পাদন করেছেন সৃষ্টির সেরা ব্যক্তিত্ব-তথা নবী-রাসূলগণ। আর ইহাই এই দাওয়াতের ফযীলতের প্রমাণ হিসাবে যথেষ্ট। কারণ আমরা সমগ্র মানুষকে জীবনের প্রকৃত দায়িত্বের দিকে আহ্বান