কেয়ামত হবে এটা মহান প্রভুর ঘোষণা। সেদিন মহান আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। কোরআনে এসেছে- জমিনের উপর যা কিছু রয়েছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে; একমাত্র আপনার মহিমায় এবং মহানুভব পালনকর্তা ছাড়া। (সুরা
শান্তি ও নিরাপত্তার মাস রজব। যে ৪ মাস যুদ্ধ তথা রক্তপাত হারাম, সে মাসগুলোর মধ্যে রজব এটি। ইসলামি ক্যালেন্ডারের (হিজরি সন) হিজেবে ৪র্থ মাস রজব। এ মাসে সব ধরনের কলহ, যুদ্ধ ও রক্তক্ষয়ী যে কোনো
সুন্দর ও সম্মানের জীবন বিধান ইসলাম। তাই মানুষের সঙ্গে সুন্দর জীবনাচার এবং সর্বোত্তম শিষ্টাচারের উপদেশও দেয় ইসলাম। সমাজে সম্মান ও মর্যাদার বড়ই অভাব। কেউ কাউকে সম্মান ও মর্যাদা দিতে জানে না। অথচ ধনী কিংবা গরিব,
পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বাণী মানবজাতিকে কেন্দ্র করে। কেননা, কুরআন মাজিদ নাজিল হয়েছে মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে জান্নাতবাসী করার জন্য। মহানবী সা:-এর বাণীও মানুষকে পাপমুক্ত এবং পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন মানুষ তৈরির জন্য। ফলে পবিত্র
মুমিন মুসলমান শ্রেষ্ঠ উম্মত। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারীরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। আর শ্রেষ্ঠ উম্মতের কাজও হবে সেরা এবং সর্বোত্তম। মহান আল্লাহ তাআলা সেরা ও উত্তম কাজ করার জন্য মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। জীবন ব্যবস্থা
কথা ও কাজের মিল খুবই জরুরি বিষয়। কাউকে নসিহত করে নিজে না মানলে এর শাস্তি হবে খুবই ভয়াবহ। এ সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে রয়েছে যেমন সুস্পষ্ট সতর্কতা তেমনি হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলাই অন্যায় ও গুনাহ। অন্যায় থেকে ফিরতে প্রয়োজন তাওবাহ আর গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনার বিকল্প নেই। গুনাহ ও অন্যায়মুক্ত জীবনের জন্য কোরআন-সুন্নায় রয়েছে অনেক দিকনির্দেশনা। এসব দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বান্দা
সব প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। কেয়ামতের দিন তাদের প্রতিদান পূর্ণমাত্রায় দেওয়া হবে। সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; তারাই সফল। আর দুনিয়ার জীবন ধোঁকা ছাড়া কিছুই নয়। (সুরা