আল্লাহর রাসুল (সা.) শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুত হতেন। তিনি শাবান মাসে অন্য মাসগুলোর তুলনায় বেশি রোযা রাখতেন, বেশি নফল ইবাদত করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কায়স (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে
রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আসছে পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক। রমজান মাসের আমল ও এবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে যে মাসের সমাপ্তীতে এই মহিমান্বিত মাসের আগমন সেই শাবান মাসের ও রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও
কোন কোন আলেম রজব মাসে পশু জবাই মোস্তাহাব বর্ণনা করেছেন-প্রমাণ হিসেবে তারা উপস্থাপন করেন মাখনাফ বিন সালিম রা:-এর হাদিস। মাখনাফ বিন সালিম রা: বলেন, আমরা রাসূলের সাথে আরাফার মাঠে অবস্থান করছিলাম, আমি শুনলাম তিনি
রজব মাসে রোজা পালনের ব্যাপারে স্বতন্ত্র কোন ফজিলত বর্ণনা করা হয় নি। বরং অন্যান্য মাসের মতই তাতে এবাদত করা হবে, রোজা রাখা হবে- যেভাবে রাখা হয় অন্যান্য মাসে। পেশাদার ওয়ায়েজ ও গল্পকার ভণ্ড ধার্মিকরা
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বেও মাসটি অন্যতম। তাইতো রমজানের রোজার পর আশুরার রোজা শ্রেষ্ঠ ইবাদত। মহররমের ১০ তারিখ রোজা রাখতে হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার অনেক আগে
রমজানের দীর্ঘ এক মাস রোজা পালন করে ঈদের আনন্দ উদযাপনের পর পর শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখলেই রোজাদার পেয়ে যাবেন পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার সওয়াব। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখলো, এরপর শাওয়াল মাসে আরও ৬ দিন রোজা রাখলো সে ব্যক্তি যেন সারা বছর ধরে রোজা রাখলো। (মুসলিম ১১৬৪) কিন্তু কোনো ওজরবশত যদি
রমজান মাসে অনেক সময় খাবারের স্বাদ বা তরকারির লবন হয়েছে কিনা তা চেখে দেখার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের তাগিদে তরকারির লবন বা খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করা যাবে কি? তা করলে রোজা হবে কি?
রমজানে রোজা রেখে প্রয়োজনে