যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হজরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদিসের একটি ছোট্ট আমলের ৬ টি উপকারিতার কথা বর্ণনা করেছেন। এ উপমহাদেশে তিনি ছিলেন ইলমে হাদিসের বাস্তব নমুনা। আমলটি ছোট এবং সবার জন্যই সহজ। কী সেই আমল?
হাদিসে
ঈদের চাঁদ দেখা গেলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নিজেদের কল্যাণে একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। সাহাবায়ে কেরামকে চাঁদ দেখতে বলতেন এবং এ দোয়াটি পড়তেও বলতেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
রমজান শেষে যে রাত আসে কিংবা যে রাত পেরুলেই ঈদ উদযাপিত হয় সেই রাতই চাঁদ রাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতের ইবাদত-বন্দেগির ফজিলত ও মর্যাদা রমজানের তুলনায় কম নয়। কেননা এ রাতেও অব্যাহত থাকতে রহমত ও
রোজাদার চূড়ান্ত সফলতার লক্ষ্যে ইতেকাফ শুরু করবে। লাইলাতুল কদর পেতে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে মুমিন মুসলমান। লক্ষ্য একটাই রমজানের চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করা।বিগত জীবনের গোনাহ মাফের পাশাপাশি জান্নাতের নিশ্চয়তা পাওয়া এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির
আল্লাহ ভয় সঠিক পথের ওপর অটল ও অবিচল থাকার অন্যতম উপায়। আল্লাহর ভয় ও সৎ মানুষর সংস্পর্শে থাকার সৌভাগ্য সবার হয় না। তাই রমজানের ক্ষমার দশকের তৃতীয় দিনে তাকওয়া ও সালেহিনদের সঙ্গী হতে আল্লাহর কাছে
যারা ক্ষমা অর্জন করতে পারবে তাদের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তিও হবে সহজ। সুতরাং আল্লাহর রাগ ও আজাব থেকে নিজেদের মুক্ত করার পাশাপাশি বাবা-মার জন্য মাগফেরাত কামনাসহ বেশিকিছু দোয়া তুলে ধরা হলো- اَللَّهُمَّ حَبِّبْ اِلَيَّ فِىْهِ الْاِحْسَانَ
সাদকাতুল ফিতরা দেয়া আবশ্যক। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত। সাদকাতুল ফিতরার পরিমাণ হলো এক সা খেজুর বা এক সা যব। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
মহামারি করোনায় স্বাস্থ্য সতর্কতা ও দিননির্দেশনায় দেশব্যাপী মসজিদগুলোতে সীমিত আকারে জুমআ ও তারাবিহ চলছে। সরকারি নির্দেশনা মেনেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ, জুমআ এবং তারাবিহ আদায় করছে মুসল্লিরা। জুমআর দিন রয়েছে গোনাহ মাফের বিশেষ ঘোষণা।